চট্টগ্রাম নগরীতে ২ ফ্লাইওভার নির্মাণে সিটি করপোরেশন

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) পর এবার বন্দরনগরীতে ফ্লাইওভার নির্মাণ করতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (সিসিসি)।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Feb 2016, 02:23 PM
Updated : 11 Feb 2016, 02:23 PM

বৃহস্পতিবার নগর ভবনে সিডিএ’র আয়োজনে লালখান বাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত প্রস্তাবিত ফ্লাইওভার নিয়ে সংশ্লিষ্টদের মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান সংসদ সদস্য আফসারুল আমিন।

পরে সিসিসি’র তত্ত্বাধায়ক প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নগরীর সাগরিকা থেকে কর্নেলহাট পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার এবং কোতয়ালি মোড় থেকে পুরনো রেলস্টেশন পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দুটি ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হবে।”

প্রথম ফ্লাইওভারটি হবে চার লেইনের, যা নির্মাণে খরচ হবে দেড়শ কোটি টাকা।

প্রথম ফ্লাইওভারের সঙ্গে জাকির হোসেন সড়কের দুপাশ এবং ‍ঢাকা ট্রাংক রোডের সঙ্গে একমুখী সংযুক্তি (কানেক্টিভিটি) থাকবে বলে জানান তিনি।

এছাড়া ৭০০ মিটার দৈর্ঘ্যের দুই লেইনের অপর ফ্লাইওভার নির্মাণে প্রায় ৩৬ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে বলে জানান সিসিসি’র তত্ত্বাধায়ক প্রকৌশলী রফিকুল।

দুটি ফ্লাইওভারের ডিটেইল প্রজেক্ট প্ল্যান (ডিপিপি) অনুমোদন পেয়েছে জানিয়ে তিনি জানান, নির্মাণে অর্থায়ন করবে জাপানি সাহায্য সংস্থা জাইকা।

সভায় লালখান বাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত প্রস্তাবিত ১৬.৫০ কিলোমিটারের ফ্লাইওভারটি বন্দর ব্যবহার করা সব ট্রাকের চলাচল উপযোগী করে তৈরির জন্য সিডিএ’র প্রতি অনুরোধ জানান চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (প্রশাসন) জাফর আলম।

তিনি বলেন, “ফ্লাইওভারটি চূড়ান্ত করার আগে অবশ্যই বন্দর ট্রাফিক বিভাগের সাথে বসে চূড়ান্ত করতে হবে, যাতে বন্দর ব্যবহারকারী ট্রাকের সাথে ফ্লাইওভারের ডিজাইন কনফ্লিক্টিং না হয়।”

জবাবে সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ সালাম চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য একটি ডেডিকেটেড র‍্যাম্প রাখার প্রস্তাব দেন।

ফ্লাইওভারটি শুধু বিমানবন্দর ব্যবহারকারীদের জন্য নয়, পতেঙ্গা এলাকার ২২ লাখ মানুষের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানান সিডিএ চেয়ারম্যান।

এছাড়াও সার্কিট হাউজে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের যাতায়াতের জন্য লালখান বাজার এলাকায় একটি র‍্যাম্প রাখার প্রস্তাবও রাখা হয়।

চট্টগ্রামের উন্নয়নের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ‘‌আন্তরিক’ বলে সভায় মন্তব্য করেন সাংসদ আফসারুল আমিন।

তিনি বলেন, “চট্টগ্রামের উন্নয়নের বিষয়ে কোনো প্রকল্প গেলে প্রধানমন্ত্রী সেটা অনুমোদনের বিষয়টি নিজে তদারকি করেন। আমাদের মেয়র মহোদয়ও চাইলে প্রকল্প পাঠাতে পারেন।”

এসময় তিনি চট্টগ্রামের জন্য সুসংবাদ আছে জানিয়ে সিসিসি'র ফ্লাইওভার নির্মাণের বিষয়টি প্রকাশ করেন।

সভায় চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ বলেন, সিডিএ’র প্রস্তাবিত ফ্লাইওভারে র‌্যাম্প বা লুপ নির্মাণ করতে গিয়ে ফুটপাত যাতে সংকোচন না করে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।

সভায় সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন, নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) মাসুদুল হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।