ছাত্রলীগের সংঘর্ষে ভাঙল প্রতিবন্ধীদের কক্ষ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আমানত হলে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ভাংচুর হয়েছে প্রতিবন্ধীদের জন্য সংরক্ষিত তিনটি কক্ষ, যদিও সেগুলোতে কোনো পক্ষের নেতাকর্মীরা থাকেন না।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Feb 2016, 03:49 PM
Updated : 10 Feb 2016, 03:49 PM

সোমবার সন্ধ্যার এ ঘটনার বিষয়ে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘ডিজেবল্ড স্টুডেন্টস সোসাইটি’।

ওই দিন ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় হলের ১০৩, ১০৫ ও ১০৭ নম্বর কক্ষ ভাংচুর করা হয় বলে সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান জানান।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় কয়েকজন এসে আমাদের কক্ষগুলো ভাংচুর করে।

“এই কক্ষগুলো প্রতিবন্ধীদের জন্য সংরক্ষিত এবং এগুলোতে কোনো ছাত্র সংগঠনের অনুসারী বা নেতাকর্মী কেউ থাকে না। একথা বলার পরও তারা আমাদের কক্ষগুলো ভাংচুর করে।”

ভাংচুরের সময় কক্ষের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী রাহাত খান কাচের টুকরোয় আহত হন বলে জানান তিনি।

ভাংচুর হওয়া কক্ষগুলো পরিদর্শনের কথা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী বলেন, হলের প্রাধ্যক্ষকে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ক্ষতিগ্রস্ত কক্ষগুলো সংস্কার করতে বলেছেন তারা।

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত সোমবার বিকালে ক্যাম্পাসে সংঘর্ষে জড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপু ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী সুজনের সমর্থকরা। তাতে আহত হন ছয়জন।

তার রেশ ধরে সন্ধ্যায় শাহ আমানত ও সোহরাওয়ার্দী হলে দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে বেশ কয়েকটি কক্ষ ভাংচুর হয়। পরদিন রাতেও পাল্টাপাল্টি অবস্থান নেয় উভয়পক্ষের অনুসারীরা।

এ প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত করে কেন্দ্রীয় কমিটি।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগে গত কয়েক বছর ধরেই দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলছে। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায় থেকেও অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছিল।

সংঘর্ষের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের আগের কমিটি বিলুপ্ত করতে হয়েছিল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে। গত বছরের মাঝামাঝিতে নতুন কমিটি ঘোষণার পর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের কোন্দল অবসানের ঘোষণা দেওয়া হলেও বাস্তবে তা হয়নি।