চবি ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় দুই মামলা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে।  এদিকে ওই সংঘর্ষের কারণ এবং জড়িতদের চিহ্নিত করতে একটি কমিটি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Feb 2016, 03:40 PM
Updated : 10 Feb 2016, 03:48 PM

চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় মামলা দুটি করেন সংঘর্ষে আহত এক ছাত্র এবং আহত অন্য এক শিক্ষার্থীর বোন।

হাটহাজারী থানার ওসি ইসমাইল হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আহত আরাফাতের বোন ফারজানা রহমান মঙ্গলবার রাতে এবং আরেক শিক্ষার্থী মীর্জা কবির বুধবার মামলা করেন।

ফারজানা রহমানের করা মামলায় এসআই খায়রুজ্জামানকে এবং মীর্জা কবিরের করা মামলায় এসআই জিয়া উদ্দিনকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত সোমবার বিকালে ক্যাম্পাসে সংঘর্ষে জড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপু ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী সুজনের সমর্থকরা। তাতে আহত হন ছয়জন।

তার রেশ ধরে মঙ্গলবার রাতে সোহরাওয়ার্দী হলে ফের সংঘর্ষে চারটি কক্ষ ভাংচুর হয়।

আহতদের মধ্যে ইতিহাস বিভাগের মো. আরাফাত এবং আইন বিভাগের মীর্জা কবির ছাড়া অন্যরা হলেন দর্শনের রেজাউল করিম, ইতিহাসের এনাম চৌধুরী, সমাজতত্ত্ব বিভাগের মো. মাসুম ও গণিতের মো. ফয়সাল।

দুই দফা সংঘর্ষের পর বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠিত ‘তথ্যানুসন্ধান কমিটি’তে আহ্বায়ক করা হয়েছে ইনস্টিটিউট অফ ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস বিভাগের অধ্যাপক মো. জসিমউদ্দিনকে।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন সহকারী প্রক্টর মিজানুর রহমান, শহীদুল ইসলাম শাহীন ও হেলাল উদ্দিন আহম্মদ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সোম ও মঙ্গলবারের সংঘর্ষের ঘটনায় কারা জড়িত, তা জানতে এ কমিটি করা হয়েছে। কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।”

সোমবারের সংঘর্ষের চিত্র

দুই দিনের সংঘর্ষের জেরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগে গত কয়েক বছর ধরেই দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলছে।  এনিয়ে আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায় থেকও অসন্তোষ প্রকাশ করা হচ্ছিল।

সংঘর্ষের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের আগের কমিটি বিলুপ্ত করতে হয়েছিল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে। গত বছরের মাঝামাঝিতে নতুন কমিটি নতুন কমিটি ঘোষণার পর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক কোন্দল অবসানের ঘোষণা দিলেও তার বাস্তবে দেখা যায়নি।