মঙ্গলবার নগরীর মেয়র গলিতে আওয়ামী লীগের এই নেতার চশমা হিলের বাসায় কেক কেটে তার ৭১তম জন্মদিন পালন করেন নেতাকর্মীরা।
বেলা দেড়টার দিকে দলীয় নেতাকর্মী পরিবেষ্টিত হয়ে জন্মদিনের কেক কাটেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। এরপর বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর, নগর পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা, সংস্কৃতি কর্মী আর সাংবাদিকসহ অনেকেই আসেন বর্ষীয়ান এই নেতাকে শুভেচ্ছা জানাতে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ফুল দিয়ে তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান।
প্রতিবারের মতো এবারও জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে আসা নারী-পুরুষ সবাইকে ঐতিহ্যবাহী মেজবানি খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।
১৯৪৪ সালের ১ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার গহিরা গ্রামে জন্ম নেন হোসেন আহমেদ চৌধুরী ও বেদুরা বেগমের সন্তান মহিউদ্দিন।
ছাত্র জীবনেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়া মহিউদ্দিন ছিলেন বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য; মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন, যুদ্ধের পর জড়িয়ে পড়েন শ্রমিক লীগের রাজনীতিতে।
পঁচাত্তরের ১৫ অগাস্ট জাতির জনককে হত্যার পর প্রতিশোধ নিতে পালিয়ে ভারতে গিয়ে প্রশিক্ষণ নেন। তাতে সফল না হলেও ১৯৭৮ সালে তিনি দেশে ফেরেন বলে নিজের আত্মজীবনী বইয়ে উল্লেখ করেছেন মহিউদ্দিন চৌধুরী।
বর্তমানে নগর আওয়ামী লীগের এই সভাপতি দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও শ্রমিক লীগের শীর্ষ পদে ছিলেন।
মহিউদ্দিন চট্টগ্রামে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, বন্দর রক্ষা আন্দোলন ও অসহযোগ আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
১৯৯১ সালে নগরীর কোতোয়ালি আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করে পরাজিত হলেও ১৯৯৪ সাল থেকে টানা তিনবার চট্টগ্রাম সিটির মেয়র নির্বাচিত হয়ে ১৬ বছর দায়িত্ব পালন করেন।
তার মেয়াদে পরিচ্ছন্নতা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল বলে অনেকে মনে করেন।
নগরীর ষোলশহর এলাকায় তার বাসার গলিটি চট্টগ্রামবাসীর কাছে মেয়র গলি হিসেবেই পরিচিত।