পাটের বস্তা বাধ্যতামূলক করায় ধর্মঘটে সার ব্যবসায়ীরা 

মোড়কে পাটের বস্তা ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা ও তা কার্যকরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে 'হয়রানির' প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেছে বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশন (বিএফএ) চট্টগ্রাম ইউনিট।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Dec 2015, 02:17 PM
Updated : 1 Dec 2015, 02:17 PM

মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর মাঝির ঘাটে অ্যাসোসিয়েশনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন সংগঠনটির নেতারা।

বিএফএ চট্টগ্রাম চট্টগ্রাম ইউনিটের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "সারা দেশে সারের ডিলাররা ধর্মঘট করছে। এরই অংশ হিসেবে চট্টগ্রামেও আমরা ধর্মঘট পালন করছি।"

বিএফএ’র অধীনে সারা দেশে সাত হাজার সারের ডিলার ও ৪৫ হাজার খুচরা ব্যবসায়ী রয়েছেন। চট্টগ্রামে ডিলারের সংখ্যা ৩০০ জন।

সকাল থেকে চট্টগ্রামের সরকারি-বেসরকারি পাঁচ সার কারখানার কোনোটি থেকেই সার সংগ্রহ করেনি ৩০০ ডিলার।

২০১০ সালে পাটজাত মোড়ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করে আইন প্রণয়ন করে সরকার। আইন অনুসারে ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার ও চিনির মোড়কীকরণে পাটের বস্তা ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়।

পাটের বস্তা ব্যবহার না করলে এক বছরের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে এ আইনে।

পাটের বস্তা ব্যবহার কার্যকর করতে সোমবার দেশের বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ব্যবসায়ীদের জরিমানা করার পর ধর্মঘটে এলেন সার ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা।

বিএফএ চট্টগ্রাম ইউনিটের নেতা নাসির উদ্দিন বলেন, “আমাদের যাতে হয়রানি করা না হয় সেই দাবিতে ধর্মঘট করছি। এখনও ডিলার এবং ব্যবসায়ীদের কাছে লাখ লাখ বস্তা সার আছে। এসব সার বিক্রি করতে আগামী জুন পর্যন্ত সময় লাগবে।”

"সারের মোড়ক হিসেবে পাটের বস্তা বাধ্যতামূলক করলে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। আমরা তো কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিএডিসি ও বিসিআইসি’র অধীন সার কারখানা থেকে সার সংগ্রহ করি। তারা সার পাটের বস্তায় মোড়কীকরণ করে দিলেই হয়।"

বিএফএ’র পক্ষ থেকে এ বিষয়ে পাট মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, "কোনো সার সংকট হলে আমারা দায়ী থাকব না। "