শেষ হল নৌবাহিনীর বার্ষিক মহড়া

সমুদ্র এলাকায় অনুসন্ধান, উদ্ধার অভিযান, নৌ স্থাপনার সুরক্ষা এবং অনুপ্রবেশ করা শত্রুপক্ষের জাহাজ, বিমান ও সাবমেরিন ধ্বংসের কলাকৌশল প্রদর্শনের মাধ্যমে শেষ হয়েছে নৌবাহিনীর বার্ষিক মহড়া ‘সমুদ্র ঘূর্ণি-২০১৫’।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Nov 2015, 01:08 PM
Updated : 30 Nov 2015, 01:08 PM

বঙ্গোপসাগরে ১৫ দিন ধরে চলা নৌবাহিনীর এ মহড়ার শেষ দিন সোমবার শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ মহড়ার সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, "প্রতিবেশীদের কাছ থেকে বিশাল সমুদ্র অঞ্চল জয়ে নৌবাহিনীর দায়িত্ব আগের যে কোন সময়ের তুলনায় বেড়ে গেছে। আর সে দায়িত্ব পালনে বাংলাদেশ নৌবাহিনী একটি আধুনিক ও শক্তিশালী বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠেছে।"

“আজকের মহড়া সেই সক্ষমতারই প্রতিফলন। নৌবাহিনীতে বড় ধরনের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন হয়েছে। সমুদ্র অঞ্চল রক্ষায় নৌবাহিনী অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।"

তিনি বলেন, "সমুদ্র অঞ্চলের গুরুত্ব অনুধাবন করে আমরা এখন উচ্চ শিক্ষায় ওশেনোগ্রাফি ও মেরিন সায়েন্স পড়াচ্ছি। বঙ্গবন্ধু ম্যারিটাইম ইউনিভার্সিটি নামে চট্টগ্রামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হচ্ছে।"

তিন ধাপে হওয়া এ মহড়ায় নৌবাহিনীর ৫৫টি জাহাজ ও একটি হেলিকপ্টার ও দুইটি পেট্রল এয়ারক্রাফট অংশ নেয়।

সমাপনী দিনের মহড়ায় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ‘বানৌজা দুর্দণ্ড’ থেকে নিক্ষেপিত ক্ষেপনাস্ত্র ১৩ নটিক্যাল মাইল (২৪ কিলোমিটার) দূরের লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুলভাবে আঘাত হানে।

কাঁধে বহনযোগ্য বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে শক্রপক্ষের অনুপ্রবেশ করা বিমান ধ্বংস করাও মহড়ায় অন্তর্ভুক্ত ছিল।

এছাড়াও কীভাবে রকেট ডেপথ চার্জ (আরডিসি) নিক্ষেপ করে শত্রুপক্ষের সাবমেরিন ধ্বংস করা যায় তাও প্রদর্শন করা হয় সমাপনী মহড়ায়।

আগামী বছর নৌবহরে সাবমেরিন যুক্ত হওয়ার কথা জানিয়ে সমাপনীতে নৌ প্রধান ভাইস এডমিরাল ফরিদ হাবিব বলেন, "নৌবহরে সাবমেরিন যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে নৌবাহিনী একটি পূর্ণাঙ্গ ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে পরিণত হবে।"

ভবিষ্যতে বাংলাদেশে করবেট ও ফ্রিগেট জাহাজ নির্মাণ করে বাইরে রপ্তানি করার কথাও জানান নৌ প্রধান।