র্যাবের করা এই মামলায় পুলিশের আবেদন শুনে চট্টগ্রামের মহানগর হাকিম ফরিদ আলম সোমবার এই আদেশ দেন।
চার দিন আগে লিমনের সঙ্গে গ্রেপ্তার তার তিন সহযোগী তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ (২৯), সাদ্দাম হোসেন (২৩) ও আজিজুল হককেও (২৭) চার দিনের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্ত্তী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, অস্ত্র উদ্ধারের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রত্যেককে সাতদিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছিল।
চট্টগ্রামের সিআরবি জোড়া খুনের আসামি লিমনসহ তার তিন সহযোগীকে নগরীর খুলশী থানার লালখান বাজার এলাকার ওমর ফারুক টাওয়ারের বাসা থেকে ২৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে র্যাব।
এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি সেভেন পয়েন্ট ৬৫ বোরের একটি বিদেশি পিস্তল, তিনটি ওয়ান শুটার গান, চারটি পিস্তলের ম্যাগজিন ও সাত রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেপ্তার চার জনের বিরুদ্ধে র্যাবের ডিএডি আব্দুল মজিদ বাদী হয়ে খুলশী থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা করেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র লিমন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক ছিলেন। জোড়া খুনের ঘটনার পর তাকে বহিষ্কার করা হয়।
২০১৩ সালের ২৪ জুন চট্টগ্রামের সিআরবি সাত রাস্তার মোড়ে রেলের ৪৮ লাখ টাকার দরপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে লিমনের অনুসারীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের সমর্থকদের সংঘর্ষে গুলিতে যুবলীগকর্মী সাজু পালিত এবং আরমান হোসেন টুটুল (৮) নামে এক শিশু নিহত হয়।
প্রায় আড়াই বছর পর ২৩ নভেম্বর চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আদালতে গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আতিক আহমেদ চৌধুরী ৬২ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র জমা দেন। এতে আসামির তালিকায় ১ নম্বরে রয়েছে লিমনের নাম।
সংঘর্ষের দিন ঘটনাস্থল ও আশেপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে ৫১ জনের সঙ্গে লিমনও গ্রেপ্তার হয়েছিলেন, পরে তিনি জামিনে বেরিয়ে আসেন।
জোড়া খুন মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়ার পর ২৬ নভেম্বর তাকে আবার গ্রেপ্তার করা হয়।