বাংলাদেশ নৌবহরে যুক্ত হয়েছে 'বিএনএস সমুদ্র অভিযান'

বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বহরে যুক্ত হয়েছে 'বিএনএস সমুদ্র অভিযান’ নামে আরও একটি জাহাজ।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Nov 2015, 02:29 PM
Updated : 19 March 2016, 08:41 AM

শনিবার চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় নৌবাহিনীর জেটিতে যুদ্ধ জাহাজটি এসে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের প্রধান রিয়ার এডমিরাল আখতার হাবিব।

যুক্তরাষ্ট্র কোস্টগার্ডের এই জাহাজ চলতি বছর ডি-কমিশনিং করার পর বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।

'সমুদ্র অভিযান’র অধিনায়ক ক্যাপ্টেন এম ওয়াসিম মাকসুদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সম্প্রতি জয় করা দেশের বিস্তীর্ণ সমুদ্র সমুদ্র অঞ্চলে সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখতে এই জাহাজকে কাজে লাগানো হবে।

"সমুদ্রে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সুরক্ষা ও সহযোগিতা দেওয়ার কাজও করবে বিএনএস সমুদ্র অভিযান।"

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে ইতোমধ্যে নৌবাহিনীর দুটি জাহাজ নিয়োজিত রয়েছে জানিয়ে ক্যাপ্টেন মাকসুদ বলেন, "ভবিষ্যতে এ জাহাজটি মিশনের কাজেও লাগানো হতে পারে।"

বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বহরে থাকা সর্ববৃহৎ যুদ্ধজাহাজ ‘সমুদ্র জয়’ এর পর যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ডের দেওয়া দ্বিতীয় জাহাজ হল 'বিএনএস সমুদ্র অভিযান’।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সাড়ে তিন হাজার টন ওজনের এই জাহাজ ১৯৬৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র কোস্টগার্ডের অধীনে যাত্রা শুরু করে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাহাজটিকে ডি-কমিশন করে তারা।

এরপর ০৫ মে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হলে যুক্তরাষ্ট্রের আলামেডা কোস্টগার্ড ঘাঁটি থেকে ১১ অক্টোবরে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেয় জাহাজটি।

বাংলাদেশ নৌবহরের নবম ফ্রিগেট স্কোয়াড্রনে যুক্ত এই জাহাজের দৈর্ঘ্য ১১৫ মিটার ও প্রস্থ ১৩ মিটার।

জাহাজটি পরিচালনায় নৌবাহিনীর ২১ জন কর্মকর্তা ও ১৫৭ জন নাবিকসহ মোট ১৭৮ জন যুক্তরাষ্ট্রে প্রশিক্ষণ নেন।

প্রশিক্ষণ শেষে জাহাজটির অধিনায়ক ক্যাপ্টেন এম ওয়াসিম মাকসুদের নেতৃত্বে চট্টগ্রামে আসার পথে মালয়েশিয়া ও ফিলিপাইনসহ বিভিন্ন দেশের সমুদ্র বন্দরে যাত্রাবিরতি করে ‘বিএনএস সমুদ্র অভিযান’।