শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে ‘নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে বিচার প্রাপ্তির ক্ষেত্র বিনির্মাণ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহায়তায় বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা ও নারীপক্ষ যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে নারীনেত্রী সিগমা হুদা বলেন, নারী নির্যাতন আইনে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ব্যক্তির শাস্তি হলেও সামাজিক পরিবর্তন তেমন হচ্ছে না।
“সমাজে প্রত্যেকে প্রত্যেকের জায়গা থেকে সহমর্মিতা নিয়ে কাজ করলে নারী নির্যাতনের হার কমানো সম্ভব। নারী নির্যাতন বন্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।”
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাইকোর্টের বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ বলেন, নারী নির্যাতনের ক্ষেত্রে যদি মিথ্যা মামলা হয়, তার পেছনের কারণগুলোও বুঝতে হবে। এক্ষেত্রে মেয়েটিকে হয়ত বাধ্য করা হয়। এখানেও নারীর স্বাধীনতা থাকছে না।
“নারীদের প্রতিপক্ষ ভাববেন না। তাদের পাশের মানুষ ভাবুন। তাদের প্রতিপক্ষ না ভেবে সমকক্ষ করে নিন।”
সভায় জানানো হয়, ২০১৪ সালে চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ নিষ্পত্তি হওয়া এক হাজার ৮০৪টি মামলার মধ্যে ১২৫টিতে সাজা এবং এক হাজার ৫৬৯টিতে আসামি খালাস পেয়েছে।
ট্রাইব্যুনাল-৩ এর চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ৯০টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। এই ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন আছে তিন হাজার ৩১টি মামলা।
সভায় বক্তব্য দেন চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. সেলিম মিয়া, জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, মহানগর হাকিম ফরিদ আলম, জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার মুজাহিদুর রহমান ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের পরিচালক রিনা রায়।
প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হাবিবুন নেছা।