সিআরবি’র জোড়া খুনের আসামি লিমনের অস্ত্রের খোঁজে র‌্যাব

চট্টগ্রাম সিআরবিতে জোড়া খুনের প্রধান আসামি বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল আলম লিমনের কাছে আরও ‘অস্ত্র রয়েছে’ জানিয়ে সেগুলো উদ্ধারে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Nov 2015, 09:49 AM
Updated : 26 Nov 2015, 09:51 AM

এ মামলায় জামিনে থাকা লিমন ও তার তিন সহযোগীকে বুধবার সন্ধ্যায় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তারের পর বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মিফতা উদ্দিন।

নগরীর খুলশী থানাধীন লালখান বাজার এলাকার ওমর ফারুক টাওয়ারের এক বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

লিমন ছাড়া গ্রেপ্তার অন্য তিনজন হলেন- তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ (২৯), সাদ্দাম হোসেন (২৩) ও আজিজুল হক (২৭)।

এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, তিনটি ওয়ান শুটার গান, চারটি পিস্তলের ম্যাগজিন ও সাতটি গুলি উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব-৭ সদর দ্প্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লেফটেন্যান্ট কর্নেল মিফতা উদ্দিন বলেন, "লিমনের কাছে আরও অস্ত্র রয়েছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করেছে। সেসব অস্ত্র কার কার কাছে রয়েছে তাও আমাদের জানিয়েছেন লিমন। সেগুলো উদ্ধারে আমাদের অভিযান চলছে।”

লিমনের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও চাঁদাবাজি বিভিন্ন অভিযোগে সাতটি মামলা রয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়।

গ্রেপ্তার বাকি তিনজনের বিরুদ্ধেও বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে জানিয়ে সেগুলোর বিষয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে বলে জানান র‌্যাব কর্মকর্তা মিফতা।

২০১৩ সালের ২৪ জুন চট্টগ্রামের সিআরবি সাত রাস্তার মোড়ে রেলের পূর্বঞ্চলীয় সদর দপ্তরের সামনে ৪৮ লাখ টাকার দরপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে লিমনের অনুসারীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়।

সংঘর্ষের সময় গুলিতে বাবরের অনুসারী হিসেবে পরিচিত যুবলীগকর্মী সাজু পালিত এবং আরমান হোসেন টুটুল (৮) নামে এক শিশু নিহত হয়।

প্রায় আড়াই বছর পর গত সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আদালতে গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আতিক আহমেদ চৌধুরী ৬২ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র জমা দেন। এতে আসামির তালিকায় ১ নম্বরে রয়েছে লিমনের নাম।

সংঘর্ষের দিন ঘটনাস্থল ও আশেপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে ৫১ জনের সঙ্গে লিমনও গ্রেপ্তার হয়েছিলেন, পরে তিনি জামিনে বেরিয়ে আসেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র লিমন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক ছিলেন। পরে তাকে বহিষ্কার করা হয়।

র‌্যাব-৭ অধিনায়ক বলেন, "লিমনকে যেখান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেই ওমর ফারুক টাওয়ারে তার দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে। একটিতে লিমন ও অন্যটিতে তার সহযোগীরা থাকছিলেন।"

"বুধবার গ্রেপ্তারের পর লিমনকে নিয়ে অন্য ফ্ল্যাটে অভিযান চালানো হয়। তবে তার আগেই অন্য সহযোগীরা সরে পড়ে।"

লিমনসহ গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে আরও একটি মামলা করা হবে বলে লেফটেন্যান্ট কর্নেল মিফতা জানান।