সিআরবিতে জোড়া খুন: অধিকতর তদন্তের নির্দেশ

চট্টগ্রামে রেলের দরপত্র নিয়ে সিআরবিতে জোড়া খুনের ঘটনায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) দিয়ে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Nov 2015, 08:51 AM
Updated : 26 Nov 2015, 08:51 AM

আলোচিত এ মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণের ওপর শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের মহানগর হাকিম নওরিন আক্তার কাঁকন এ নির্দেশ দেন।

আদালত পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার কাজী মুত্তাকী ইবনে মিনান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, অভিযোগপত্র গ্রহণের শুনানি শেষে আদালত মামলাটি ‘অধিক গুরুত্বের সঙ্গে’ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।

দুই বছর আগের এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আতিক আহমেদ চৌধুরী গত ২৩ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

এতে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর এবং ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেতা সাইফুল ইসলাম লিমনসহ ৬২ জনকে আসামি করা হয়।

২০১৩ সালের ২৪ জুন চট্টগ্রামের সিআরবি সাত রাস্তার মোড়ে পূর্ব রেলের সদর দপ্তর সিআরবির সামনে ৪৮ লাখ টাকার দরপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়ায় বাবর ও লিমনের অনুসারীরা।

সিআরবি’তে গোলাগুলির ঘটনায় গ্রেপ্তারের পর ছাত্রলীগনেতা সাইফুল আলম লিমন

সংঘর্ষে গুলিতে বাবরের অনুসারী হিসেবে পরিচিত যুবলীগ কর্মী সাজু পালিত ও শিশু আরমান হোসেন টুটুল (৮) নিহত হয়।

ঘটনার দিনই চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানার এসআই মহিবুর রহমান বাদী হয়ে বাবর ও লিমনসহ দুই পক্ষের ৮৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

এর প্রায় একমাস পরে যুবলীগকর্মী সাজু পালিতের মা মিনতি পালিত বাদী হয়ে যুবলীগকর্মী অজিত বিশ্বাসকে প্রধান আসামি করে চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা করেন।

পরে আদালত এই দুই মামলা একসঙ্গে তদন্ত করে অভিযোগপত্র দেওয়ার নির্দেশ দেয়। দুই দফা তদন্ত কর্মকর্তা বদলের পর তদন্ত শেষে ২৩ নভেম্বর ওই অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়।

অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার পর এ মামলায় সর্বশেষ বুধবার রাতে নগরীর লালখান বাজার এলাকার বাসা থেকে তিন সহযোগীসহ আসামি সাইফুল ইসলাম লিমনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

ঘটনার পর গ্রেপ্তার হয়ে পরে জামিনে বাইরে ছিলেন লিমন। দ্বিতীয় বার সহযোগীসহ গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে অস্ত্রও পাওয়া যায়।