চট্টগ্রামে ওষুধ ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটের হুমকি

চট্টগ্রামে অভিযানের সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ১২ জনের বিরুদ্ধে করা মামলা তুলে না নেওয়া হলে ধর্মঘটের হুমকি দিয়েছেন ওষুধ ব্যবসায়ীরা।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Nov 2015, 08:36 AM
Updated : 26 Nov 2015, 08:36 AM

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে আটকদের মুক্তি দেওয়া না হলে আগামী রোববার সকাল থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত চট্টগ্রামে সব ওষুধের দোকান বন্ধ রাখা হবে বলে ‘বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি’ চট্টগ্রামের সহ-সভাপতি নূরুল গণি জানিয়েছেন।

দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব এলাকায় মানববন্ধন ও সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।   

গত মঙ্গলবার নগরীর পাইকারি ওষুধের বাজার হাজারী গলির কাছে পুরাতন গির্জা এলাকায় হামলার ঘটনাটি ঘটে। এসময় ব্যবসায়ীদের ইটের আঘাতে আদালতের সঙ্গে থাকা দুই আনসার সদস্যও আহত হন।

পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং ১৫ জনকে আটক করে নিয়ে যায়। হামলার ঘটনায় ওই রাতেই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়, যাতে আটক ১২ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

সমাবেশে নূরুল গণি বলেন, “ভ্রাম্যমাণ আদালত অন্যায়ভাবে আমাদের দোকান মালিক ও কর্মচারীদের কারাগারে ঢুকিয়েছে। সমিতির ৩০ বছরের নেতা সভাপতি এস কে সিকদারকে পলাতক আসামি করা হয়েছে।

“আজ সন্ধ্যার মধ্যে মামলা প্রত্যহার ও গ্রেপ্তারদের মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। মামলা প্রত্যাহার না হলে আগামী রোববার সকাল থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত পুরো চট্টগ্রামে ওষুধের দোকান বন্ধ রাখব। এরপর প্রয়োজনে সোমবার থেকে টানা কর্মসূচি দেওয়া হবে।”

সমিতির চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ শাখার সভাপতি নুরুল আলম সিদ্দিকী সমাবেশে বলেন, “ভ্রাম্যমাণ আদালত ফুড সাপ্লিমেন্ট, সরকারি ওষুধ, ভারতীয় ওষুধ ও স্যাম্পলের ‍ওষুধের জন্য অভিযান চালায়।

“ফুড সাপ্লিমেন্ট চিকিৎসকরা কেন লেখেন? কেন সেগুলো তৈরি হয়? সরকারি ওষুধ তো সরকারি প্রতিষ্ঠানের স্টোর থেকে আসে। সেগুলো কার মাধ্যমে বাজারে আসে? স্যাম্পল তৈরি করা হয় সরকারি ভ্যাট ফাঁকি দেয়ার জন্য। সেগুলো খেলে তো মানুষ মরে না।”

তিনি বলেন, “যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে আমরা যারা সাধারণ মানুষের সেবা করি তাদের উপর জুলুম চালানো হচ্ছে। কথা বললেই ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।”

সমাবেশে আন্দরকিল্লা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী বলেন, “নিরীহ ১২ জন ব্যবসায়ীকে কারাগারে নেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের জামিনের চেষ্টা করেছি, হয়নি।

“মেয়র আ জ ম নাছিরের নির্দেশে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বসে সমঝোতার চেষ্টা করেছি। নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গেও দেখা করব।”

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন সমিতির কার্যকরী সদস্য শিবু প্রসাদ দাশ ও কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক দোলন কান্তি দাশ।