চট্টগ্রামে দ্বিতীয় যৌথ সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ ও ভারতের জেলা প্রশাসক পর্যায়ের দ্বিতীয় যৌথ সীমান্ত সম্মেলন চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Nov 2015, 01:28 PM
Updated : 25 Nov 2015, 01:28 PM

বুধবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে দুই দেশের জেলা প্রশাসক পর্যায়ের ৯ নম্বর ক্লাস্টারের যৌথ এ সম্মেলন হয়।

এই ক্লাস্টারের প্রথম যৌথ সীমান্ত সম্মেলন হয় চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ভারতের মিজোরাম রাজ্যের মামিত জেলায়।

দ্বিতীয় সীমান্ত সম্মেলনে বাংলাদেশের পক্ষে রাঙামাটি ও বান্দরবানের জেলা প্রশাসক এবং ভারতের পক্ষে মিজোরামের তিন জেলা লুঙ্গলেই, মামিত ও লাওঙ্গট্লাই এর জেলা প্রশাসকরা অংশ নেন।

সম্মেলনে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ এবং চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ জানান, প্রতিবেশী ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে চট্টগ্রাম বিভাগের আট জেলা ও ২৩ উপজেলার সীমান্ত রয়েছে। এর মধ্যে ভারতের মিজোরাম রাজ্যের তিন জেলার সঙ্গে রাঙামাটি ও বান্দরবানের সীমান্ত রয়েছে।

যৌথ সীমান্ত নীতি ২০১২ অনুসারে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে অংশ নিতে মিজোরামের লুঙ্গলেই জেলার প্রশাসক আশীষ মাধবরাও মোরের নেতৃত্বে ভারতের একটি প্রতিনিধি মঙ্গলবার চট্টগ্রাম পৌঁছুয়।

প্রতিনিধি দলে ছিলেন মামিত জেলার প্রশাসক লাল বিয়াকসাঙ্গি ও পুলিশ সুপার সি. লাল নুনমাউইয়া, লুঙ্গলেই জেলার পুলিশ সুপার জোসাঙ্গলিয়ানা এবং লাওঙ্গট্লাই জেলার পুলিশ সুপার লাল রিঙ্গডিকা।

দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে প্রায় আড়াই ঘণ্টার আলোচনা শেষে রাঙামাটির জেলা প্রশাসক শামসুল আরেফিন বলেন, আন্তঃসীমান্ত মাদক পাচার, মানব পাচার, নিরাপত্তা এবং সীমান্তে অপরাধমূলক নান কর্মকাণ্ডসহ দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

দুই পক্ষের মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে মন্তব্য করে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতা আশীষ মাধবরাও মোরে বলেন, “আশা করি, সীমান্তের দুই পাড়ে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকবে।”

বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের রাঙামাটির জেলা প্রশাসক ছাড়াও বান্দরবানের জেলা প্রশাসক মিজানুল হক চৌধুরী, ২৫ বিজিবির কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. শাহাবুদ্দিন ফেরদৌস, ৫৩ বিজিবির কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিয়াজ আহমদ চৌধুরী ও রাঙ্গামাটির পুলিশ সুপার সৈয়দ তরিকুল হাসান এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (রাঙ্গামাটি) আলমগীর হোসাইন ও সহকারী পরিচালক (বান্দরবান) মো. শাহনেওয়াজ অন্যরা অংশ নেন।

বৈঠক শেষে বান্দরবান জেলার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, “অপরাধীরা অপরাধ করে দুই দিকেই সীমান্ত অতিক্রম করে। এক্ষেত্রে কড়া নজরদারির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।”

ভূমির যৌথ সীমান্ত সমীক্ষা, চোরাচালান, অপহরণ ও দ্বৈত নাগরিকত্ব বিষয়ে স্থানীয় পর্যায়ের এমন আলোচনার মধ্যে দিয়ে বিদ্যমান অনেক সমস্যা অচিরেই সমাধান হবে বলে আশা প্রকাশ করেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ।