মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর পাইকারি ওষুধের বাজার হাজারী গলি সংলগ্ন পুরাতন গির্জা এলাকায় ওই ঘটনায় ব্যবসায়ীরা আদালতকে লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়েন বলে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমিন জানান।
তার নেতৃত্বেই ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হয়।
পুরাতন গির্জা এলাকায় অভিযানে কয়েকটি দোকান থেকে বিক্রি নিষিদ্ধ ওষুধ জব্দ করা হয় বলে রুহুল আমিন জানিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের খবর হাজারী গলিতে পৌঁছালে সেখান থেকে ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারীরা দল বেঁধে কে সি দে সড়কের দিকে এগোতে থাকেন। একই সময় পুরাতন গির্জা এলাকা থেকে আদালতও ওই সড়কে পৌঁছায়।
এক পর্যায়ে ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারীরা ভ্রাম্যমাণ আদালতকে লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়া শুরু করলে দুই আনসার সদস্য আঘাত পান।
পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে ১০-১৫ জনকে আটক এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালী থানার ওসি জসিম উদ্দিন।
ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমিন বলেন, “পুরাতন গির্জা এলাকায় অভিযানের পর আমরা হাজারী গলিতে অভিযান চালাতে পারি- এমন ধারণা থেকেই তারা হামলা চালায়।
“ইটের আঘাতে এক আনসার সদস্য মাথায় ও অন্যজন হাতে আঘাত পেয়েছেন। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।”
লোকজন জড়ো হয়ে যাওয়ায় আদালত অভিযান শেষ না করেই ফিরে যায় বলে তিনি জানান।
হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে এস কে সিকদার বলেন, “আমরা কি করে তাদের ওপর হামলা করব? আমরা সাধারণ পাবলিক। তাদের সঙ্গে পুলিশও ছিল।”
ভ্রাম্যমাণ আদালত চলে যাওয়ার পর অভিযানের প্রতিবাদে দোকান বন্ধ করে মিছিল করেন ব্যবসায়ীরা।
গত তিন মাসে নগরীর বিভিন্ন স্থানে ওষুধের দোকানে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিক্রি নিষিদ্ধ সরকারি ওষুধ, ভারতীয় নিষিদ্ধ ওষুধ, ফুড সাপ্লিমেন্ট ও স্যাম্পল জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এসব অভিযানে অধিকাংশ ফার্মেসি মালিক হাজারী গলির পাইকারি বাজার থেকে নিষিদ্ধ ওষুধ সংগ্রহের তথ্য দিয়েছেন বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমিন।