ব্যাটারি চুরি ঠেকাতে সহায়তা চেয়েছে গ্রামীণফোন

বেইজ স্টেশনে ব্যাটারি চুরি ঠেকাতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, জনগণ ও প্রশাসনের সহায়তা চেয়েছে মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Nov 2015, 01:41 PM
Updated : 23 Nov 2015, 05:01 PM

সোমবার বন্দর নগরীর এক হোটেলে সংবাদকর্মীদের সঙ্গে গ্রামীণফোনের পরিবেশবান্ধব ভূমিকা নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় এই সহায়তা চাওয়া হয়।

গ্রামীণফোনের হেড অব রিজিওনাল অপারেশন্স সঞ্জয় দাশগুপ্ত বলেন, ব্যাটারি চুরির ঘটনা

নেটওয়ার্ক সক্রিয় রাখার ক্ষেত্রে বড় ধরনের সমস্যা হয়ে উঠেছে।

তবে সব পরিস্থিতিতেই গ্রামীণফোন সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিতে সর্বোচ্চ প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।

ব্যাটারি চুরি ঠেকাতে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় উদ্ভাবিত একটি সফটঅয়্যার ব্যবহারের কথা জানিয়ে সঞ্জয় বলেন, “বেইজ স্টেশনে কোনো অনুপ্রবেশ ঘটলে স্টেশনটি যে সাব-সেন্টারের অধীনে আছে সেখানে এলার্ম বেলের মাধ্যমে আমরা সেটা জানতে পারি।

“সমস্যা হল, জানার পর বেইজ স্টেশনটিতে পৌঁছাতে গড়ে এক থেকে দেড় ঘণ্টা সময় লাগে। আর চুরির ঘটনায় ঘটতে ২০ থেকে ২৫ মিনিট সময় লাগে। ফলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, জনগণ ও প্রশাসনের সহায়তা না পেলে এসব চুরি ঠেকানো যাবে না।”

তিনি জানান, প্রতিটি বেইজ স্টেশনে দুই সেটে ২৪টি ব্যাটারি থাকে। প্রতি সেট ব্যাটারির দাম চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা।

অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের হেড অব এক্সটারনাল কমিউনিকেশন্স সৈয়দ তালাত কামাল বলেন, গ্রামীণফোনে প্রতিটি কার্যক্রম প্রকৃতিবান্ধব করার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকে। এজন্য ২০১৪ সালে গ্রামীণফোন দক্ষিণ এশিয়ার মর্যাদাপূর্ণ  ‘দ্য গ্রিন মোবাইল অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছে।

“তারই অংশ হিসেবে প্রতিটি বেইজ স্টেশনে আমরা এমন প্রযুক্তি ব্যবহার করছি, যাতে শীতাতপ যন্ত্র না লাগে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ ব্যবহার কমাতে সবগুলো বেইজ স্টেশন পর্যায়ক্রমে সোলারের আওতায় আনা হবে।”

গ্রামীণফোন পরিচালিত অনলাইন স্কুলগুলোও ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে জানিয়ে তালাত বলেন, ১০টি অনলাইন স্কুলে প্রায় সাতশ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে।