চট্টগ্রামে কোকেনকাণ্ড: অভিযোগপত্রের আংশিক শুনানি

চট্টগ্রাম বন্দরে সূর্যমুখী তেলের সঙ্গে মিশিয়ে তরল কোকেন আনার ঘটনায় দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণের জন্য আংশিক শুনানি হয়েছে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Nov 2015, 02:32 PM
Updated : 22 Nov 2015, 02:32 PM

রোববার চট্টগ্রামের মহানগর হাকিম রহমত আলী দিনের শুনানি শেষে আগামী ৭ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন রাখেন।

চট্টগ্রাম নগর ‍পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রশিকিউশন) কাজী মুত্তাকি ইবনু মিনান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “৭ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে অভিযোগপত্র গ্রহণের বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।”

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) এ ঘটনায় মাদক আইনে করা মামলায় আট জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (দক্ষিণ) মো. কামরুজ্জামান।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খান জাহান আলী লিমিটেডের কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা সোহেল, মো. মোস্তফা কামাল, আইটি বিশেষজ্ঞ মেহেদী আলম, গার্মেন্ট পণ্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মণ্ডল গ্রুপের বাণিজ্যিক নির্বাহী মো. আতিকুর রহমান, সিঅ্যান্ডএফ কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম, কসকো বাংলাদেশ শিপিং লাইনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (করপোরেট, বিক্রয় ও বিপণন) এ কে আজাদ এবং যুক্তরাজ্যের দুই নাগরিক ফজলুর রহমান ও বকুল মিয়া।

অভিযুক্তদের মধ্যে যুক্তরাজ্যের নাগরিক ফজলুর রহমান ও বকুল মিয়া পলাতক এবং সাইফুল ইসলাম গত বুধবার উচ্চ আদালতের জামিন নিয়ে কারাগার থেকে ছাড়া পান।

এছাড়া আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স খান জাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান ‍নুর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ না পাওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয় অভিযোগপত্রে।  

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত ৭ জুন চট্টগ্রাম বন্দরে থাকা একটি কনটেইনার আটক করে সিলগালা করে দেয় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর।

এ ঘটনায় ২৮ জুন চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খান জাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ ও কর্মচারী গোলাম মোস্তফা সোহেলকে আসামি করে মাদক আইনে একটি মামলা করে পুলিশ ।

পরে আদালত মামলাটিতে চোরাচালানের ধারা সংযোগের নির্দেশ দেয়।

১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য আইনের ১৯ (১) এর খ ধারায় এবং দণ্ডবিধির ৩৩(১) ধারায় দেয়া অভিযোগপত্রে মোট ৫৮ জনকে সাক্ষী করা হয়।