চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কার্যালয়ে রোববার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম শহীদুর রহমানের সভাপতিত্বে এক সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।
সল্টগোলা ক্রসিং থেকে সিমেন’স ক্রসিং পর্যন্ত সড়কে প্রবেশকারী ট্রাক, কার্ভাড ভ্যান ও লরির সড়কে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকাই যানজটের কারণ মনে করছে পুলিশ।
শহীদুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সমস্যা নিরসনে বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং পরিবহন শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অবিলম্বে এসব সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।”
সভার সিদ্ধান্ত হয়েছে ওই এলাকায় সড়কে অহেতুক যানবাহন দাঁড় করিয়ে রাখা যাবে না। মঙ্গলবার থেকে দাঁড় করিয়ে রাখা যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে।
বন্দরে প্রবেশের জন্য লাইনে দাঁড়ানো যানবাহন দ্রুত বন্দরে প্রবেশ করানো এবং ওই অবস্থায় কোনো চালক-সহকারী যেন গাড়ি থেকে না নামেন, সেই পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ।
এছাড়া বন্দরে পণ্য পরিবহনে আসা যানবাহনের ‘ডকুমেন্টেশন’ যেন দ্রুত সম্পন্ন করা হয় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করেছে সিএমপি।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বন্দরের পরিচালক (নিরাপত্তা) লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলমগীর কবীর, উপ-কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তর) মাসুদ-উল-হাসান, উপ-কমিশনার (ট্রাফিক-বন্দর) মো. সুজায়েত ইসলাম, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অলি আহমদ এবং বন্দর ট্রাক মালিক সমিতি, চট্টগ্রাম প্রাইম মুভার এসোসিয়েশন ও ট্রাক পরিবহন মালিক সমিতি কন্টেইনার ডিপোস অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা।
সড়কের ওই অংশ দিয়েই চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকা (সিইপিজেড) ও চট্টগ্রাম বিমান বন্দরে যেতে হয়।
প্রতিদিন সকালে ও বিকালে যানজটের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েন সিইপিজেডগামী পেশাজীবী ও বিমানবন্দরগামী যাত্রীরা।
সম্প্রতি নগরীর লালখান বাজার থেকে মুরাদপুর পর্যন্ত নির্মাণাধীন আখতারুজ্জামান চৌধুরী উড়াল সেতুটি বিমান বন্দর পর্যন্ত সম্প্রসারণের প্রস্তাব দিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।