সোমবার রাতে রাজধানীর মতিঝিল পুলিশ বক্সে গিয়ে ভাইকে খুন করার কথা জানান রায়হান। পরে সেখানকার পুলিশ সদস্যরা চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় যোগাযোগ করেন।
রায়হানকে আনতে পুলিশের একটি দল ঢাকায় গেছেন বলে কোতোয়ালি থানার ওসি মো. জসিম উদ্দিন জানিয়েছেন।
রোববার সকালে কোতোয়ালির রাবেয়া রহমান গলিতে বড় ভাই সোহেল চৌধুরীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে পালিয়ে যান রায়হান।
ওসি জসিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সোমবার রাতে রায়হান মতিঝিল পুলিশ বক্সে গিয়ে নিজের পরিচয় দিয়ে বড় ভাইকে খুন করার কথা জানান।
“পরে সেখানকার পুলিশ সদস্যরা তাকে মতিঝিল থানায় নিয়ে গিয়ে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আমাদের একটি দল রায়হানকে ঢাকা থেকে নিয়ে আসছে।”
ঘটনার দিন পুলিশ জানায়, সকালে কলেজে যাওয়ার জন্য ডাকতে গেলে নিজের কক্ষে সোহেলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করেন রায়হান।
পরিবারের সদস্যদের দাবি, চট্টগ্রামের কাজেম আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী রায়হানের মানসিক সমস্যা আছে এবং এজন্য তার চিকিৎসাও করানো হয়েছে।
পুলিশ ওই বাসা থেকে একটি ছুরি, হাতুড়ি এবং রায়হানের বিছানার নিচ থেকে একটি বড় দা উদ্ধার করেছে।
এ ঘটনায় সোমবার রাতেই নিহত সোহেলের স্ত্রী শারমিন আক্তার কোতোয়ালি থানায় রায়হানকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেছেন।