এরা হলেন- ফজলে এলাহী মিশু (২৭), রুবেল, লুৎফর ও রিয়াজ। চারজনই নিজেদের যুবলীগ-ছাত্রলীগ কর্মী বলে পরিচয় দেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এদের মধ্যে মিশু পশুর হাটে গুলিতে দুজনকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার এক নম্বর আসামি বলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই আইয়ূব আলী জানিয়েছেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হাটে হত্যাকাণ্ডের পর এলাকা থেকে পালিয়ে যান মিশু। বুধবার গভীর রাতে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ঘাট থেকে ঢাকামুখী একটি বাস থেকে তাকে ধরা হয়।
“মিশুকে চট্টগ্রামে আনার পর শুক্রবার ভোররাতে সন্দ্বীপ উপজেলার বাউরিয়া গ্রামে তাকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে গেলে তার সহযোগীরা হামলা চালায়। পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়। এতে ডান পায়ে গুলিবিদ্ধ হয় মিশু।”
পরে ওই গ্রামে তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ছয়টি আগ্নেয়াস্ত্র, আট রাউন্ড গুলি ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয় বলে জানান তিনি।
পরে মিশুর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সন্তোষপুরে অভিযান চালিয়ে তার তিন সহযোগী রুবেল, লুৎফর ও রিয়াজকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মোস্তাফিজুর রহমান জানান।
গত ২১ সেপ্টেম্বর উপজেলার বাতেন মার্কেট এলাকায় গরুর হাটে হাসিলের টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার সময় তাতে বাধা দিলে গুলি ছোড়ে সন্ত্রাসীরা। গুলিবিদ্ধ হয়ে দুজন নিহত হন।
এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে এর আগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর সন্দ্বীপ থেকে মো. সাহেদ উল্লাহ (২৫), মো. মানিক মিয়া (২৫) ও নিরব মিয়াকে (২৪) গ্রেপ্তার করা হয়।
সে সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। ওই তিনজনও মিশুর সহযোগী বলে জানিয়েছিলেন বলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা।