বেতন কাঠামো পুনর্নির্ধারণের দাবি কলেজ শিক্ষকদেরও

অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোতে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল পুনর্বহালসহ ছয় দফা দাবি জানিয়েছেন সরকারি কলেজের শিক্ষকরা।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Oct 2015, 02:26 PM
Updated : 7 Oct 2015, 02:26 PM

বুধবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে করে এ দাবি জানান বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির নেতারা।

সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি শাহ মোহাম্মদ আলমগীর বলেন,  বেতন কাঠামোতে ‘টাইম স্কেল’ ও ‘সিলেকশন গ্রেড’ বাতিল করে অধ্যাপকদের তৃতীয় গ্রেড থেকে চতুর্থ গ্রেডে অবনমন করা হয়েছে।

“যার ফলে এখন থেকে শিক্ষা ক্যাডারের কেউ বিভিন্ন অধিদপ্তর ও শিক্ষা প্রকল্পের উচ্চ পর্যায়ে কাজ করার কোনো সুযোগ পাবেন না। এতে অন্য ক্যাডারের লোকজন দিয়ে ওইসব বিভাগে পদায়ন করার সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে।”

তিনি বলেন, বিসিএস সাধারণ শিক্ষার একজন প্রভাষক পদোন্নতির সব শর্ত পূরণ করেও অনেক সময় শুন্য পদ না থাকা ও উপরের পদ না থাকায় পদোন্নতি পান না।

এছাড়া সহকারী অধ্যাপকরা নিয়ম অনুযায়ী তিন বছর পর সহযোগী অধ্যাপকে পদোন্নতি পাওয়ার কথা থাকলেও পদ স্বল্পতার কারণে সেটা হয়ে ওঠে না।

“এ কারণে চাকরির মেয়াদ ১০ বছর অতিক্রম করলে সিলেকশন গ্রেডের মাধ্যমে শিক্ষকদের ষষ্ঠ থেকে পঞ্চম গ্রেড প্রদান করা হয়ে আসছে। কিন্তু বর্তমান বেতন স্কেলে সিলেকশন গ্রেড  ও টাইম স্কেল বাতিল করায় সেটা আর থাকছে না। এতে শিক্ষকদের চতুর্থ ও পঞ্চম গ্রেড থেকে অবসরে যেতে হবে, যা শিক্ষক সমাজের জন্য মর্যাদাহানিকর।”

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির ছয়দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান, এনসিটিবিসহ অনার্স-মাস্টার্স কলেজের অধ্যক্ষের পদ এক নম্বর গ্রেডে উন্নীতকরণ। এক নম্বর গ্রেডের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন পরিচালক, শিক্ষাবোর্ড সচিব, এনসিটিবি’র সদস্য ও কলেজের উপাধ্যক্ষদের পদকে দুই নম্বর গ্রেডে উন্নীতকরণ।

বেতন কাঠামোতে বৈষম্য দূর করতে ১৯৮৪ সালের এনাম কমিশন এবং ১৯৮৭ সালের সচিব কমিটির সুপারিশ সত্ত্বেও ‘বৈষম্য’ রোধে সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন শিক্ষা সমিতির নেতারা।

সম্মেলনে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সচিব জহিরুল হক স্বপন, সদস্য নূরুল বাশার, আনোয়ার সাদাত কামাল হোসেন ও সরকারি হাজী মোহাম্মদ মহসিন কলেজের রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ইদ্রিস আলী, সরকারি সিটি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক আব্দুল আলীম উপস্থিত ছিলেন।