মঙ্গলবার রাতে গোয়েন্দা পুলিশের এসআই আফতাব আহমেদ অস্ত্র, বিস্ফোরক ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে কর্ণফুলী থানায় এসব মামলা করেন বলে ওসি রফিকুল ইসলাম জানান।
এসব মামলায় জেএমবির ‘সেকেন্ড-ইন-কমান্ড’ বুলবুল আহমেদ সরকার ওরফে ফুয়াদ, মো. সুজন ওরফে বাবু, মাহবুবুর রহমান ওরফে খোকন, মো. শাহজাহান ওরফে কাজলকে আসামি করা হয়েছে, যাদের গত সোমবার গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার কুসুম দেওয়ান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ফুয়াদ, সুজন, মাহবুব ও শাহজাহানকে অস্ত্র মামলায় আসামি করা হয়েছে।
বিস্ফোরক ও সন্ত্রসবিরোধী আইনে করা দুই মামলায় এই চারজনসহ পলাতক ফারদিন, পিয়াস ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও কয়েকজন, বলেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
গত সোমবার চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে পৃথক অভিযানে ওই চারজনকে গ্রেপ্তারের পর কর্ণফুলী থানার খোয়াজনগর আজিমপাড়া এলাকার একটি বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় জেএমবির ‘সামরিক শাখার কমান্ডার’ মো. জাবেদকে।
ওই বাসা থেকে নয়টি গ্রেনেড, ১২০ রাউন্ড গুলি, একটি পিস্তল, ১০টি ছুরি ও বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
পরদিন ভোরে জাবেদকে নিয়ে অক্সিজেন-কুয়াইশ রোডে বিস্ফোরক উদ্ধারের অভিযানে গেলে সেখানে ‘গ্রেনেড বিস্ফোরণে’ তার মৃত্যু হয় বলে পুলিশের দাবি।
অক্সিজেন-কুয়াইশ রোডে গ্রেনেড বিস্ফোরণের ঘটনায় বায়েজিদ থানায় আরও দুটি মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তা কুসুম দেওয়ান।