এ অপরাধে ওই ফার্মেসি মালিককে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রুহুল আমিন জানান।
দণ্ডিত অনিক বড়ুয়ার স্ত্রী রুনা বড়ুয়া ফৌজদারহাট বক্ষব্যাধি হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স। মঙ্গলবার বিকালে নগরীর চকবাজার থানার মির্জারপুল এলাকায় অনিকের মালিকাধীন জনকল্যাণ ফার্মেসিতে অভিযান চালানো হয়।
রুহুল আমিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ফার্মেসি থেকে বড় এক কার্টনভর্তি বিক্রয় নিষিদ্ধ সরকারি ওষুধ জব্দ করা হয়।
“সরকারি হাসপাতালে রোগীদের বিনামূল্যে দেওয়ার জন্য আনা এসব ওষুধে লাল-সবুজ রংয়ের ছাপ থাকে। এসব ওষুধ বিক্রি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।”
ফার্মেসিতে সরকারি ওষুধ পাওয়ার পর অনিকের মির্জারপুল এলাকার বাসায় যায় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অনিকের স্ত্রী রুনা জিজ্ঞাসাবাদে জানান তিনি ফৌজদারহাট বক্ষব্যাধি হাসপাতালে সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসেবে কর্মরত আছেন।
“রুনা অল্প পরিমাণে ওষুধ বিনামূল্যে স্থানীয়দের দেওয়ার জন্য এনে দোকানে রেখেছেন বলে দাবি করেন। এই দাবি আমাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি,” বলেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক।
রুনা বড়ুয়া সরকারি কর্মচারী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসক, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবরে লিখিত আবেদন করা হবে বলে জানান তিনি।
একই ভ্রাম্যমাণ আদালত অনুমোদনহীন, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ও ফুড সাপ্লিমেন্ট বিক্রির অপরাধে আরও ছয়টি ফার্মেসিকে মোট ৩২ হাজার টাকা জরিমানা করে।
এর মধ্যে মির্জারপুল এলাকার নাহার ও রুবি ফার্মেসিকে ১০ হাজার এবং অ্যারোমা ফার্মেসিকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া গোল পাহাড় মোড় এলাকার চৌধুরী ফার্মেসিকে পাঁচ হাজার, জনসেবা ফার্মেসিকে দুই হাজার এবং জেসি ফার্মেসিকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।