কন্টেইনারে ভারতীয় রুপি: ৫ আসামি কারাগারে

চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশি জাহাজের কন্টেইনার থেকে প্রায় পৌনে তিন কোটি ভারতীয় রুপি উদ্ধারের ঘটনায় করা মামলার ছয় আসামির মধ্যে গ্রেপ্তার পাঁচ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Sept 2015, 01:11 PM
Updated : 22 Sept 2015, 03:35 PM

এরা হলেন- সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান ফ্ল্যাশ ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান এসএম সায়েম ওরফে শামীমুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আসাদুল্লাহ, প্রতিষ্ঠানের কর্মী আহম্মদ উল্লাহ, শাহীদুজ্জামানের ভাই মো. তৌহিদুল আলম ও বন্দরের শ্রমিক শেখ সাবের।

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রশিকিউশন) কাজী মুত্তাকি ইবনু মিনান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পাঁচ আসামিকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করা হয়।

“মহানগর হাকিম নূরে আলম আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।”

এর আগে সন্ধ্যায় ভারতীয় রুপি উদ্ধারের ঘটনায় আসামি করে মামলা বন্দর থানায় মামলাটি করেন শুল্ক ও গোয়েন্দা অধিদপ্তরের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা বিধান কুমার সরকার।

বন্দর থানার ওসি একেএম মহিউদ্দিন সেলিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিশেষ ক্ষমতা আইন, কাস্টমস অ্যাক্ট ও ব্যাগেজ আইনে মামলাটি করা হয়। মামলায় গৃহস্থালি পণ্যের ঘোষণা দিয়ে আনা রুপিগুলোর প্রেরক শাহীদুজ্জামানসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।

অপর পাঁচ আসামি হলেন- সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান ফ্ল্যাশ ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান এসএম সায়েম ওরফে শামীমুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আসাদুল্লাহ, প্রতিষ্ঠানের কর্মী আহম্মদ উল্লাহ, শাহীদুজ্জামানের ভাই মো. তৌহিদুল আলম ও বন্দরের শ্রমিক শেখ সাবের।

আগের দিন এই পাঁচ জনের সঙ্গে ফ্ল্যাশ ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের গড়ির চালক কাউসার আলমকে আটক করে শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। এদের মধ্যে শেখ সাবেরের সম্পৃক্ততার বিষয়ে শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা জানালেও মঙ্গলবার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। অন্যদিকে কাউসার আটক থাকলেও তাকে মামলায় আসামি করা হয়নি।

ডান দিকে থেকে দ্বিতীয় জন হলেন ফ্ল্যাশ ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আসাদুল্লাহ।

আর দুবাইপ্রবাসী চট্টগ্রামের হাটহাজারীর বাসিন্দা শাহীদুজ্জামান দেশে থাকলেও পলাতক রয়েছেন।

রুপি উদ্ধারের ঘটনা তদন্তে কমিটি

এদিকে চট্টগ্রাম বন্দরে আরব আমিরাত থেকে আসা কন্টেইনারে পৌনে তিন কোটি ভারতীয় রুপি জব্দ করার ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার রাতে গঠিত এ তদন্ত কমিটিতে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হোসাইন আহম্মদকে প্রধান করা হয়েছে।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মঈনুল খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তদন্ত কমিটিকে ২৫ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জাকির হোসেন ও সহকারী পরিচালক সৈয়দ মোকাদ্দেস হোসেন।

গত রোববার রাতে ভারতীয় রুপি থাকার খবর পেয়ে বন্দরে আসা ওই জাহাজ থেকে একটি কন্টেইনার আটক করে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর। পরে কায়িক পরীক্ষায় ওই কন্টেইনারের ভেতরে থাকা চারটি কার্টনে দুই কোটি ৭১ লাখ ৭৬ হাজার ৫০ রুপি পাওয়া যায়।

শাহীদুজ্জামান ১৬ সেপ্টেম্বর গৃহস্থালি পণ্য ঘোষণা দিয়ে আরব আমিরাতের জাবেল আলী বন্দর থেকে ‘এমভি প্রসপার’ নামক জাহাজে কন্টেইনারটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ফ্ল্যাশ ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে চট্টগ্রামে পাঠান।