‘আমি থামব না’

জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বই পড়া চালিয়ে যেতে চান বর্ষীয়ান সাংবাদিক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক সিদ্দিক আহমেদ।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Sept 2015, 07:46 PM
Updated : 19 Sept 2015, 07:46 PM

শনিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘আমার জীবন, আমার সাংবাদিকতা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে মত বিনিময়কালে তিনি একথা বলেন।

সাংবাদিক সিদ্দিক আহমেদ বলেন, “আমি কৃষক পরিবারের মানুষ। বড় কোনো ডিগ্রি আমার নেই। যতটুকু অর্জন করেছি তা নিজের লেখাপড়ায়। তরুণ অবস্থায় ঢাকায় ও চট্টগ্রামে পাবলিক লাইব্রেরি, ব্রিটিশ লাইব্রেরি ও আমেরিকান লাইব্রেরিতে ঘুরে ঘুরে পড়েছি।

“আমি নিজেকে থামতে দিইনি কখনো। আমি থামব না। এখনও নতুন পত্রিকা আর বই খুঁজতে থাকি। একটা রাগ ছিল। চট্টগ্রামের সাহিত্যিক-সাংবাদিকরা কেন নতুন কোনো কথা আমায় শোনাবে। আমিই শোনাবো নতুন কিছু।”

চট্টগ্রামের সাংবাদিকতার জগতে নবীন-প্রবীণ সবার ‘বন্ধু’ হিসেবে পরিচিত সিদ্দিক আহমেদ। তিনি আড্ডায় মেতে ওঠেন বয়সের সীমা ডিঙ্গিয়ে।

চট্টগ্রামের শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতি জগতের সবার কাছে সিদ্দিক আহমেদ প্রিয় মানুষ। তার ব্যক্তিগত সংগ্র্রহে আছে কয়েক হাজার বই।

১৯৪৬ সালে চট্টগ্রামের রাউজানে জন্ম নেওয়া সিদ্দিক আহমেদ বাষট্টির ছাত্র আন্দোলন ও ঊনসত্তরের গণআন্দোলনের সক্রিয় কর্মী।

ছাত্র জীবনে ছাত্র ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত সিদ্দিক আহমেদ ১৯৬৮ সাল থেকে ছিলেন সাহিত্যিক-সাংবাদিক রণেশ দাশগুপ্তের সান্নিধ্যে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সিদ্দিক আহমেদ সংগঠকের ভূমিকা পালন করেন।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর রাউজানে শিক্ষকতায় যুক্ত হন। এরপর কৃষি কাজ ও কৃষক আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন।

১৯৯১ সাল থেকে সাংবাদিকতায় যুক্ত হয়ে ২০১৫ সালে পেশাগত জীবনের ইতি টানেন দৈনিক আজাদীর সহকারী সম্পাদক হিসেবে।

দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন।

এ পর্যন্ত ছয়টি বই প্রকাশিত হয়েছে সিদ্দিক আহমেদের।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি কলিম সরওয়ার, সাধারণ সম্পাদক মহসীন চৌধুরী, শিল্পগ্রুপ পিএইচপির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, সিদ্দিক আহমেদের ছাত্র জেলা পিপি আবুল হাশেম ও সাংবাদিক দিবাকর ঘোষ।

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব আয়োজিত অনুষ্ঠানে সিদ্দিক আহমেদের জীবন ও কর্ম নিয়ে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। সবশেষে সিদ্দিক আহমেদের প্রিয় গানগুলো গেয়ে শোনান শিল্পী শ্রেয়সী রায়।