বুধবার চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনে ‘জেলা আইনজীবী সমিতি’ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, “আপনাদের দাবির বিষয়ে আমি ওয়াকিবহাল। সার্কিট বেঞ্চ সময়ের দাবি, অস্বীকারের উপায় নাই।
‘‘এখানে স্থায়ী বেঞ্চ ছিল, কিন্তু কনস্টিটিউশনাল প্রবলেম ছিল। এটা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ছিল। সেকারণে ঢাকায় একটা কোর্টে নিয়ে যাওয়া হয়।’’
তিনি বলেন, “রাজশাহী থেকেও একই দাবি করা হচ্ছে। সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকেও আমাকে বলা হয়েছে। সরকারপ্রধান থেকে বলা হয়েছে, এটা কেমন হয়। খুব সিরিয়াসলি বলা হয়েছে।”
‘এখনই হ্যাঁ বা না বলতে পারছি না’ মন্তব্য করেন সিনহা বলেন, “প্রধান বিচারপতি হিসেবে এমন কিছু বলতে পারি না, যা বলে এখন হাততালি পাব, পরে করতে পারব না।”
চিন্তাভাবনা করে পরে সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলেও জানান বিচারপতি সিনহা।
ইচ্ছা ও সঙ্গতির কথা যৌথভাবে বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে কিছু সময় লাগতে পারে বলেও জানান তিনি।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মুজিবুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্টার আবু সৈয়দ দিলদার হোসেন, জেলা ও দায়রা জজ মো. নুরুল হুদা, মহানগর দায়রা জজ মো. শাহে নুর, সুপ্রিম কোর্ট বার কাউন্সিলের নবনির্বাচিত সদস্য ইব্রাহীম হোসেন বাবুল উপস্থিত ছিলেন।
সভায় স্বাগত বক্তব্যে সমিতির সাধারণ সম্পাদক চট্টগ্রামে সার্কিট বেঞ্চ স্থাপনের দাবি জানান। তিনি তার বক্তব্যে চট্টগ্রামের আদালতগুলোতে বিচারক সংকটের কথা তুলে ধরেন।
জবাবে প্রধান বিচারপতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে শূন্যপদে নিয়োগের আশ্বাস দেন।
এর আগে সকালে প্রধান বিচারপতি চট্টগ্রাম আদালত ভবনের বিভিন্ন আদালতে গিয়ে বিচারিক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।