চট্টগ্রামে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা

চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থানা এলাকায় নিজের বাড়ির সামনে স্থানীয় ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Sept 2015, 05:50 PM
Updated : 2 Sept 2015, 01:16 PM

নিহত মেহেদী হাসান বাদল (৪০) পাঁচলাইশ থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও নগর যুবলীগের কর্মী। তিনি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত ছিলেন বলে স্থানীয় যুবলীগ নেতারা জানিয়েছেন।

মেহেদী হাসান বাদল

বায়েজিদ থানার শেরশাহ কলোনি এলাকার মুখলেছুর রহমানের ছেলে মেহেদীকে মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে নিজের বাসার সামনে গুলি করা হয় বলে ওই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নুরুল আবছার জানান।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই জহিরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গুলিবিদ্ধ মেহেদীকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

রাতে মেহেদীর ভগ্নিপতি মো. আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “স্থানীয় সন্ত্রাসী শফি, কুদ্দুস ও সাদ্দাম এবং তাদের অনুসারীরা মেহেদীকে গুলি করে হত্যা করেছে।”

তিনি বলেন, কিছুদিন আগে বায়েজিদে স্থানীয় আওয়ামী লীগ অফিসে দুর্বৃত্তরা ঢুকে চারজনকে কুপিয়ে আহত করে।

“ওই ঘটনায় মেহেদী একটি সাধারণ ডায়রি করলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। সে সময় ব্যবস্থা নিলে মেহেদী খুন হত না।”

মেহেদী নিহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে রাতে যুবলীগ-ছাত্রলীগের কয়েকশ নেতাকর্মী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনের জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে।

পরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, সিএমপির অতিরিক্ত দুই কমিশনার কে এম শহীদুর রহমান ও দেবদাস ভট্টাচার্য হাসপাতালে যান।

পুলিশ কর্মকর্তা দেবদাস এসময় সাংবাদিকদের বলেন, বাসায় ফেরার পথে সন্ত্রাসীরা তাকে পেছন থেকে গুলি করেছে।

ঘাড়ের কাছে গুলির দাগ রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তবে অভিযান চলছে।

মেহেদী বিবাহিত ও তিন সন্তানের জনক বলে তার স্বজনরা জানিয়েছে।

সিটি মেয়র আ জ ম নাছির হাসপাতালে গিয়ে মেহেদীর স্বজনদের সান্ত্বনা দেন।

এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এলাকায় কোনো কোন্দল ছিল না। দেখে মনে হচ্ছে গুপ্তহত্যা।

“পুলিশকে বলেছি হত্যাকারী যেই হোক তাকে গ্রেপ্তার করতে।”