এরা হলেন- চট্টগ্রাম নগরীর ২৪ নম্বর উত্তর আগ্রাবাদ ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম, মো. খলিল মিয়া ও একেএম ইলিয়াস ভুঁইয়া।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. শাহে নূর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় এ পরোয়ানা জারি করেন।
দুদকের আইনজীবী (পিপি) মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী জানান, মামলার অভিযোগ গঠনের সময় আসামিরা অনুপস্থিত থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, ১৯৯১ সালের মোসাম্মত সুলতানা বেগম নামে নগরীর আগ্রাবাদ পানওয়ালা পাড়ার এক বাসিন্দা মারা যান।
“মৃত ওই নারীকে জীবিত দেখিয়ে ২০০০ সালের জুলাই মাসে জাতীয়তা সনদ দেন তখনকার কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম। এ সনদ ব্যবহার করে ওই নারীর স্বাক্ষর জাল করে অন্য দুই আসামি সুলতানা বেগমের জমি লিজ দেওয়ার ব্যবস্থা করে।”
লিজ বাবদ ৫০ হাজার টাকা নেওয়া এবং আরও ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগে ২০০২ সালের ২৪ জুলাই তখনকার দুর্নীতি দমন ব্যুরোর উপ-পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
এ ঘটনায় দুদকের উপ-সহকারী পরিদর্শক আবুল বাশার চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এ বছরের ২৯ জুলাই এ মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়।
১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় মামলাটি করা হয় বলে জানান মেজবাহ।