চট্টগ্রামে বৃষ্টি-জলাবদ্ধতা, বন্দরে ৩ নম্বর সঙ্কেত

মৌসুমী বায়ু ও উত্তর বঙ্গোপসাগরে গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সর্তকতা সঙ্কেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Sept 2015, 01:34 PM
Updated : 1 Sept 2015, 01:34 PM

সোমবার রাত থেকে মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে চট্টগ্রাম নগরী ও আশেপাশের কয়েকটি উপজেলায় ভারি বৃষ্টি চলছে। মঙ্গলবার দিনভর বৃষ্টিতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা।

এদিকে রোববার থেকে চট্টগ্রামের ৪১ নম্বর দক্ষিণ পতেঙ্গা ওয়ার্ডে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে ঢুকেছে জোয়ারের পানি।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ আতিকুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মঙ্গলবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত শেষ ২৪ ঘণ্টায় ১৪৯ দশমিক ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

“মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় এরকম বৃষ্টি হচ্ছে। সমুদ্র বন্দরগুলোকে তিন নম্বর সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে। আগামীকালও এরকম ভারি বৃষ্টি হতে পারে।”

আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক সর্তক বার্তায় বলা হয়, মৌসুমী বায়ু সক্রিয় হওয়ার কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি হচ্ছে।

এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগারে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

সোমবার রাত থেকে টানা ও ভারি বর্ষণে নগরীর আগ্রাবাদ, বাকলিয়া, চকবাজার, মুরাদপুর, জিইসি, মাদাবাড়ি ও পাঠানটুলীসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরীর বাসিন্দারা। সড়কে পানি থাকার অজুহাতে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহনের চালকরা যাত্রীদের কাছ থেকে বেশি ভাড়া আদায় করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

রোববার রাত থেকে পূর্ণিমার প্রভাবে জোয়ারের পানিতে নগরীর বিভিন্ন লোকালয়ে পানি ঢুকতে শুরু করে।

রোববার ও সোমবার আগ্রাবাদ এক্সেস সড়ক এবং সিডিএ আবাসিক এলাকাসহ সংলগ্ন এলাকাগুলো কয়েক দফায় জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায়।

এছাড়া নগরীর অন্যতম প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ এলাকার মূল সড়কেও জোয়ারের পানিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।

রোববার রাতে নগরীর ৪১ নম্বর দক্ষিণ পতেঙ্গা ওয়ার্ডের লালদিয়ার চর এলাকায় জোয়ারের প্রভাবে কর্ণফুলী নদীর বেড়ি বাঁধ ভেঙ্গে যায়।

এতে লালদিয়ার চর এলাকার একটি সড়ক ও লোকালয় প্লাবিত হয়।

৪১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সালেহ আহমদ চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জোয়ারের পানিতে প্রায় আড়াইশ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

“তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় সাংসদ এম এ লতিফের পক্ষ থেকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার বিষয়টি মেয়রকে জানিয়েছি। অবিলম্বে মেরামতের ব্যবস্থা করা হবে বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।”