ভারি বৃষ্টিতে ডুবেছে বন্দরনগরী

একটানা ভারি বৃষ্টিতে হাঁটু থেকে কোমর সমান পানিতে নাকাল চট্টগ্রামের বাসিন্দারা। জলাবদ্ধতার কারণে গণপরিবহন চলাচল কমে গিয়ে নগরবাসীর ভোগান্তির মাত্রা আরও বাড়িয়েছে।   

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Sept 2015, 07:36 AM
Updated : 1 Sept 2015, 07:36 AM

বৃষ্টিতে নগরীর জিইসি মোড়, দুই নম্বর গেট, মুরাদপুর, চকবাজার, হালিশহর, বড়পোল, আগ্রাবাদ এক্সেস সড়ক, সিডিএ আবাসিক এলাকা, পাঠানটুলী, মাদারবাড়ি, বাকলিয়া, ইপিজেড মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে পানি জমে গেছে।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সোমবার সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। তবে রাত থেকে শুরু হয় মূষলধারায়।

গত ২৪ ঘণ্টায় বন্দরনগরীতে ১৪৮ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।

মঙ্গলবার সকালে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে মানুষের দুর্ভোগের চিত্র। বিশেষ করে শিক্ষার্থী আর কর্মস্থলগামীদের যানবাহন না পেয়ে অসহায় অবস্থায় পানিতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

হাতেগোনা কিছু রিকশা পাওয়া গেলেও যাত্রীদের গুণতে হচ্ছে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া। আর সীমিত সংখ্যক বাসেও ছিল উপচেপড়া ভিড়।

চট্টগ্রাম ইপিজেডের একটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা অনুপম চন্দ বলেন, “মাদারবাড়ি, ফকিরহাট, সল্টগোলা এলাকায় মূল সড়ক ছাড়াও ইপিজেডের ভেতরে পানি জমে আছে।”

মুরাদপুর এলাকার বাসিন্দা হেলাল উদ্দিন জানান, মুরাদপুর থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ চলছে।

“পুরো এলাকার রাস্তায় বড় বড় গর্তে পানি জমে যাওয়ায় গাড়ি চালকরা এপথে যেতেই চায় না।”

মুরাদপুর মোড়, ওয়াসা মোড়, লালখান বাজার, টাইগার পাস, আগ্রাবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ত মোড়গুলোয় গাড়ির অপেক্ষায় দেখা গেছে কয়েকশ মানুষকে।  

আগ্রাবাদ এলাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা অশেষ সাহা জানালেন, সকালে কাজীর দেউড়ি ও লালখান বাজারে লম্বা সময় দাঁড়িয়ে থেকেও গাড়ি পাননি।

“পরে অতিরিক্ত ভাড়ায় অটোরিকশায় করে অফিসে যেতে হয়েছে,” বলেন তিনি।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসে কর্মকর্তা মিরাজ হোসেন জানিয়েছেন, মৌসুমী বায়ু এবং সঞ্চরণশীল মেঘমালার কারণে ভারি বৃষ্টি বুধবার পর্যন্ত থাকতে পারে।