সোমবার রাউজান তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবদুল খালেকের নেতৃত্বে এই কমিটি গঠন করে তাদের তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- রাউজান তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী কানাই চন্দ্র দাশ ও শিকলবাহা কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক (নিরাপত্তা) আবুল বশর।
কমিটির প্রধান প্রকৌশলী আবদুল খালেক বলেন, “আগুনে বিদ্যুৎকেন্দ্রের কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে কমিটি তা খতিয়ে দেখবে। এছাড়া কেন, কীভাবে আগুন লেগেছে তাও তদন্ত করা হবে।”
রোববার বিকালে কর্ণফুলী নদীর তীরে অবস্থিত শিকলবাহা ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১৩২ কেভি ট্রান্সফরমারে আগুন লাগে। পরে তা পাশের আরেকটি ট্রান্সফরমারে ছড়িয়ে পড়ে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মীদের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিস দুই ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ট্রান্সফরমারে আগুন লাগার ফলে বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত দক্ষিণ চট্টগ্রাম এবং বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘিœত হয়।
৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাশেই দেড়শ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্ট নামে আরও একটি কেন্দ্র আছে, যেটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে পাঁচদিন ধরে বন্ধ আছে।
প্রকৌশলী আবদুল খালেক জানান, আগুনে একটি ট্রান্সফরমার পুরো নষ্ট এবং অন্যটির আংশিক ক্ষতি হয়েছে।
মেরামতের পর একদিনের মধ্যেই কেন্দ্রটি চালু করা যাবে বলে আশা করছেন তিনি।