দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই ম্যাচে মুশফিক করেন যথাক্রমে ১৭ ও ১৯ রান।
রানে ফিরতে প্রতিনিয়ত লড়াই করছেন মুশফিক। আর এই লড়াই কাছ থেকে দেখার অভিজ্ঞতা থেকে মাশরাফি বলেন, “এ নিয়ে দুঃশ্চিন্তার কিছু নাই। ওর যতটুকু চেষ্টা করার ততটুকু ও করছে। অবশ্যই আমরা চাই, মুশফিক তার সেরা ফর্ম নিয়েই দলে থাকুক।”
মাশরাফি মনে করেন, টি-টোয়েন্টিতে নিজের ব্যাটিং সমন্বয় করার সুযোগ পাননি মুশফিক, “এই ফরম্যাটে একজন ব্যাটসম্যান যদি মনে করে, আমার সময় দরকার; চাইলেই কিন্তু সে তা পাবে না। তখন সেটা তার জন্য কঠিন হয়ে যায়।”
মুশফিকই বাংলাদেশের সবচেয়ে ধারাবাহিক ব্যাটসম্যান, সব চলছিল ভালোভাবেই। গত সেপ্টেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শতক করার পর হঠাৎ করেই যেন ছন্দটা হারিয়ে ফেলেন মুশফিক। কিংসটাউন টেস্টে ১১৬ রানের সেই ইনিংস খেলার পর তিন বার পেয়েছেন শূন্যের দেখা। শেষ ১৩ টেস্ট ইনিংসে তার অর্ধশতক মাত্র একটি।
পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে শতক করার পর থেকে থিতু হয়ে আউট হয়ে যাচ্ছেন মুশফিক। ভারতের বিপক্ষে তিন ওয়ানডেতে ১৪, ৩১ ও ২৪ রান করেন তিনি। তার আউটের ধরনে ক্লান্তির ছাপ স্পষ্ট। তবে এটাকে গুরুতর সমস্যা মনে করেন না মাশরাফি।
“আশা করি, মুশফিক দৃঢ় ভাবে ছন্দে ফিরবে। আর সে যেদিন ফিরবে সেদিন আমরা ম্যাচ জিতব।”