প্রথম ম্যাচে অ্যারন ফাঙ্গিসো ও জেপি দুমিনি মিলে ৮ ওভারে মাত্র ৩২ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। দ্বিতীয় ম্যাচে ফাঙ্গিসো ও অভিষিক্ত লেগ স্পিনার এডি লি নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট। উইকেট না পেলেও বোলিং ওপেন করে জেপি দুমিনি ৪ ওভারে রান দিয়েছেন মাত্র ২৬।
গত ২ সিরিজে ভারত-পাকিস্তানের অনেক ভালো মানের স্পিনারদেরও অনায়াসে সামলেছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। সেই তারাই কেন গড়পড়তা মানের প্রোটিয়া স্পিনে হিমশিম খাচ্ছেন, সেটির উত্তর জানা নেই মাশরাফিরও।
“ব্যাখ্যা করা কঠিন। প্রতিটি ব্যাটসম্যান আলাদা করে হয়ত তাদের কথা বলতে পারবে। আমি জানি না কেন এমন হলো।”
ধোঁয়াশায় থাকা বাংলাদেশ অধিনায়ক অবশ্য পরে নিজের মতো একটা ব্যাখ্যা দাঁড় করানোর চেষ্টা করলেন।
“উত্তর যেহেতু জানি না, আমি ধরে নিচ্ছি, নিয়মিত যেহেতু উইকেট পড়েছে, লক্ষ্যও ছিল বড়, ব্যাটসম্যানদের ওপর তাই চাপের সৃষ্টি হয়েছে। চাপেই হয়ত ব্যাটসম্যানরা উইকেট দিয়ে এসেছে।”
দক্ষিণ আফ্রিকার পেশাদারী এবং খুনে ক্রিকেটও নতুন করে ভাবাচ্ছে বাংলাদেশ অধিনায়ককে।
“আমাদের আরও ঠাণ্ডা মাথায় খেলতে হবে। ওরা আমাদের বিপক্ষে কঠিন ক্রিকেটই খেলবে, আমাদের খুব চিন্তা ভাবনা করে খেলতে হবে।”
মাশরাফির বিশ্বাস, ওয়ানডে সিরিজে আর এসবের পুনরাবৃত্তি দেখা যাবে না।
“আমার এখনও মনে হয় না যে খুব বেশি কিছু হয়ে গেছে। আমরা যদি একটি দল হিসেবে খেলতে পারি, মানসিক দিকগুলো ঠিক রাখতে পারি, তাহলে আমার বিশ্বাস, ওয়ানডেতে আমরা স্বরূপে ফিরতে পারব।”