ব্যাটিং ব্যর্থতায় সিরিজ হার বাংলাদেশের

টি-টোয়েন্টি খেলার ধরনটা আয়ত্ত না করতে পেরে আবারও ব্যর্থ হয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও সহজে স্বাগতিকদের হারিয়ে সিরিজ জিতে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

অনীক মিশকাতঅনীক মিশকাতবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 July 2015, 06:37 AM
Updated : 7 July 2015, 03:45 PM

মঙ্গলবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩১ রানে হারে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটে ১৬৯ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ১৯ ওভার ২ বলে ১৩৮ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভালো সূচনা এনে দিয়েছিলেন সৌম্য সরকার ও তামিম ইকবাল। ৪৬ রানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙে তামিমের বিদায়ের পরই দিক হারায় বাংলাদেশ। এরপর অভিষিক্ত লেগ স্পিনার এডি লির বলে স্টাম্পড হয়ে সৌম্য (২১ বলে ৩৭) বিদায় নেন।

অতিথি পেসারদের ঠিকঠাক খেললেও আবার স্পিনে বিভ্রান্ত হয়েছে স্বাগতিকরা। দুই স্পিনার লি ও ফাঙ্গিসো তিনটি করে উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সব আশা শেষ করে দেন।

পরপর দুই বলে সাব্বির রহমান ও মুশফিকুর রহিমকে আউট করে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগান এডি লি। স্লগ সুইপ করতে গিয়ে সাব্বির আর ফুলটস বলে মুশফিক ক্যাচ দেন।

এডি লির হ্যাটট্রিক ঠেকিয়ে দেওয়া নাসির ফিরেন শূন্য রানেই। ফাঙ্গিসোর দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন তিনি। এর আগে সাকিব আল হাসানকে বিদায় করেন বাঁহাতি স্পিনার ফাঙ্গিসো। তার তৃতীয় শিকার আট নম্বরে নামা লিটন দাস।

শেষ দিকে অভিষিক্ত রনি তালুকদার ও মাশরাফি বিন মুর্তজার ব্যাটে পরাজয়ের ব্যবধান কমায় বাংলাদেশ।
 
এর আগে ডি কক ও ডি ভিলিয়ার্সের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে উড়ন্ত সূচনা পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ১০ ওভারে ৯৫ রান সংগ্রহ করেন অতিথি দলের দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান।
 
প্রথম ১০ ওভারে সঠিক লাইন-লেন্থে বল করতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা। এই সময়ে ফিল্ডিংও ভালো হয়নি স্বাগতিকদের।
 
তবে শেষ ১০ ওভারে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। এতে নেতৃত্ব দেন আরাফাত সানি ও নাসির। একাদশ ওভারে ডি কককে ফিরিয়ে ‘ব্রেক থ্রু’ এনে দেন আরাফাত। তার বলে মিড উইকেটে সাব্বিরকে ক্যাচ দেন সর্বোচ্চ ৩১ বলে৪৪ রান করা ডি কক। 
 
পরের ওভারে জোড়া আঘাতে জেপি দুমিনি ও বিপজ্জনক ডি ভিলিয়ার্সকে ফিরিয়ে দেন নাসির। সাকিবকে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান দুমিনি আর মুশফিকের গ্লাভসে জমা পড়েন ৩৪ বলে ৪০ রান করা ডি ভিলিয়ার্স। 
 
৬ বলের মধ্যে প্রথম তিন ব্যাটসম্যানকে হারানো দক্ষিণ আফ্রিকা কিছুটা চাপে পড়ে। দ্বিতীয় স্পেলে ৩ ওভার বল করে ১৭ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন নাসির।
 
রানের গতি বাড়াতে গিয়ে মুস্তাফিজুর রহমানের শিকারে পরিণত হন প্রথম ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় ফাফ দু প্লেসি। তবে শেষ দিকে রাইলি রুশো ও ডেভিড মিলার দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন। 
 
নাসিরের হ্যাটট্রিক ঠেকিয়ে দেওয়া মিলার সেই ওভারে কট বিহাইন্ডের একটি জোরালো আবেদন থেকে বেঁচে যান। তিনি অপরাজিত থাকেন ৩০ রানে। ১৯তম ওভারে সাকিবের পর পর দুই বলে দুটি বিশাল ছক্কা হাঁকানো রুশো ৬ বলে খেলেন অপরাজিত ১৯ রানের ইনিংস।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

দক্ষিণ আফ্রিকা: ২০ ওভারে ১৬৯/৪ (ডি কক ৪৪, ডি ভিলিয়ার্স ৪০, দুমিনি ৬, দু প্লেসি ১৬, মিলার ৩০*, রুশো ১৯*; নাসির ২/২৬, আরাফাত ১/৩১, মুস্তাফিজ ১/৩৪)।

বাংলাদেশ: ১৯.২ ওভারে ১৩৮ (তামিম ১৩, সৌম্য ৩৭, সাকিব ৮, মুশফিক ১৯, সাব্বির ১, নাসির ০, রনি ২১, লিটন ১০, মাশরাফি ১৭, আরাফাত ৫*, মুস্তাফিজ ০; লি ৩/১৬, অ্যাবট ৩/২০, ফাঙ্গিসো ৩/৩০, পার্নেল ১/২৯)।