বাঁচা-মরার লড়াইয়ে বাংলাদেশ

অনেক দিন পর কোনো সিরিজে হার এড়ানোর লড়াইয়ে নামতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। সিরিজ বাঁচাতে দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে জয়ের কোনো বিকল্প নেই প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হারা স্বাগতিকদের।

অনীক মিশকাতঅনীক মিশকাতবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 July 2015, 02:13 PM
Updated : 6 July 2015, 02:13 PM

মঙ্গলবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বেলা একটায় মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা। ওয়ানডে সিরিজে খেলার আগে এই ম্যাচ জয় চাই-ই স্বাগতিকদের।

রোববার প্রথম ওয়ানডেতে ৫২ রানের জয়ে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতাকেই বড় করে দেখেছে বাংলাদেশ। সমতায় সিরিজ শেষ করতে ব্যাটসম্যানদের বিশেষ করে টপ অর্ডারকে বেশি দায়িত্ব নিতে হবে। তামিম ইকবাল-সৌম্য সরকারের উদ্বোধনী জুটিকে এনে দিতে হবে ভালো সূচনা।

অনেক দিন পর কোনো ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশের মিডলঅর্ডার। মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস থিতু হলেও নিজেদের ইনিংস বড় করতে পারেননি। দুই অঙ্কেই পৌঁছাতে পারেননি সাব্বির রহমান ও নাসির হোসেন।

দক্ষিণ আফ্রিকার দুই স্পিনার জেপি দুমিনি ও অ্যারন ফাঙ্গিসো ৮ ওভার বল করে ৩৩ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন। অতিথি স্পিনারদের খেলতে বেশ বেগ পেতে হয় স্বাগতিক ব্যাটসম্যানদের।

কাইল অ্যাবট, ওয়েইন পার্নেল, কাগিসো রাবাদা, ডেভিড ভিজের পেস বলের সামনেও খুব একটা সাবলীল ছিলেন না বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। টি-টোয়েন্টিতে জিততে অতিথি বোলারদের এবার সামলাতেই হবে স্বাগতিকদের। এতে নেতৃত্ব দিতে পারেন সাকিব, টি-টোয়েন্টি খেলার অভিজ্ঞতা তারই সবচেয়ে বেশি।

টি-টোয়েন্টি এখনও ঠিক বুঝে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ। প্রতিনিয়ত হিসাব-নিকেশের মধ্য দিয়ে যাওয়াটা এখনও রপ্ত করতে পারেনি স্বাগতিকরা। সে সব মাথায় না নিয়ে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ সতীর্থদের উপভোগ করতে বলেছেন মাশরাফি। এই ম্যাচে ভালো করে ওয়ানডের প্রেরণা চান দেশসেরা এই পেসার।

শক্তির বিচারে দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে অনেক পিছিয়ে বাংলাদেশ, তাই অতিথিদের হারাতে মেলাতে হবে অনেক সমীকরণ। প্রচুর ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারদের। প্রথম ম্যাচে সেই অভিজ্ঞতাই ছিল অতিথিদের ত্রাতা।

কুইন্টন ডি কক, এবি ডি ভিলিয়ার্স, ডেভিড মিলার ভালো না করলেও ঠিকই লড়াইয়ের পুঁজি গড়ে অতিথিরা। ফাফ দু প্লেসি, দুমিনি, রাইলি রুশোর ব্যাটে জয়ের পথে এগিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।

সময় নিয়ে ধীরে-ধীরে ম্যাচ জেতানো অপরাজিত ৭৯ রানের ইনিংস খেলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক। পরের ম্যাচে সতীর্থদের কাছ থেকে এমন হিসেবী ব্যাটিং চান বাংলাদেশের অধিনায়ক।

আরাফাত সানি, সাকিব, মুস্তাফিজুর রহমান, মাশরাফি প্রথম ম্যাচে প্রত্যাশিত বোলিংই করেছেন। বোলিং অ্যাকশন সংশোধন করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরাটা স্মরণীয় করে রাখতে পারেননি সোহাগ গাজী। স্বাগতিকদের বোলিং ইউনিটের জন্য আরেকটি পরীক্ষাই হবে মঙ্গলবারের ম্যাচ।

পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে না পারায় বড় হার এড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। এবার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আর যার যার ভূমিকা পালনে প্রত্যয়ী স্বাগতিকরা। প্রত্যেকে নিজেদের কাজটুকু করতে পারলে সমতায় সিরিজ শেষ করার লক্ষ্য পূরণ সম্ভব হবে বাংলাদেশের।