প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার পরিকল্পনা ছিল পুরো উল্টো। বাংলাদেশের একাদশে ছিল তিন বিশেষজ্ঞ স্পিনার, সঙ্গে আরও দুজন অনিয়মিত স্পিনার। দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশে সেখানে বিশেষজ্ঞ স্পিনার ছিল মাত্র একজন, আর একজন পার্ট টাইমার।
মন্থর, নিচু বাউন্সের উইকেটেও চারজন ফাস্ট বোলার খেলিয়েছে প্রোটিয়ারা। তাতে সফলও তারা। এই উইকেটেও গতি দিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ভুগিয়েছেন কাগিসো রাবাদা ও কাইল অ্যাবট। নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন ডেভিড ভিজে ও ওয়েইন পারনেল। চার পেসার মিলে ১০.৫ ওভারে মাত্র ৬২ রান দিয়ে নিয়েছেন ৬ উইকেট।
সোমবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক পেসার ও বোলিং কোচ ল্যাঙ্গেভেল্ট জানালেন, বাংলাদেশকে নাড়িয়ে দেওয়াই ছিল তাদের পরিকল্পনা।
“আমাদের পরিকল্পনা, বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে আগ্রাসী বোলিং করা। উপমহাদেশে এসে আক্রমণাত্মক মানসিকতা নিয়েই মাঠে নামা উচিত। এজন্যই আমরা চার ফাস্ট বোলার খেলিয়েছি। প্রথম ম্যাচে এটা কাজে লেগেছে, আরেক ম্যাচে নাও লাগতে পারে। তবে মানসিকতা এরকমই থাকবে।”
“আবারও চার পেসার খেলানো বা না খেলানো নির্ভর করছে উইকেটের ওপর। প্রথম ম্যাচে পরে ব্যাটিং করতে হলে হয়ত আমাদেরও সমস্যায় পড়তে হতো। পরে উইকেটের অবস্থা একটু খারাপ হয়ে গিয়েছিল। সবকিছু তাই নির্ভর করছে উইকেটের ওপর। উইকেট বুঝে আমরা হয়ত একই একাদশ খেলাব।”
রোববার প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ৫২ রানে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা।