মঙ্গলবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। তার আগের দিন হোটেল সোনারগাঁওয়ে দলের প্রতিনিধি হয়ে সাংবাদিকদের সামনে আসেন সৌম্য।
রোববারের ম্যাচে দ্বিতীয় ওভারেই বিদায় নেন সৌম্য। এর আগে প্রথম ওভারেই ফেরেন তামিম ইকবাল। সর্বোচ্চ ২৬ রান আসে টপ অর্ডারের অন্য ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসানের ব্যাট থেকে।
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৫২ রানে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারে বাংলাদেশ। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান সৌম্যর বিশ্বাস, প্রথম তিন ব্যাটসম্যানের কেউ খেলা শেষ করে এলে চিত্রটা অন্যরকম হত।
“সাকিব ভাই শেষ করে এলে বা দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের কেউ শেষ করলে হয়তো আরও ভালো হত। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানরা যদি বড় জুটি গড়ে দিয়ে আসতে পারতাম তাহলে পরের ব্যাটসম্যানদের জন্য ম্যাচটা হাতে নেওয়া সহজ হত।”
পাকিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে শতক পেয়েছিলেন সৌম্য। এর আগে-পরে প্রায় প্রতিটি ইনিংসে থিতু হয়ে বিদায় নেন তিনি। ইনিংস বড় করা নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করছেন বলে জানান এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
“সবাই বুঝছে, আমিও বুঝছি, আমার জন্য একটু খারাপই হচ্ছে। আমি থিতু হয়ে আউট হচ্ছি, এটা আমার চেয়ে দলের জন্যই বেশি খারাপ হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে থেকে বের হয়ে আসার জন্য আমি অনেক কাজ ও পরিকল্পনা করছি।”
ওয়ানডে ও টেস্টে মিডলঅর্ডারে ব্যাট করলেও টি-টোয়েন্টিতে তিন নম্বরে খেলেন সাকিব। বিশ্বের নানা দেশে টি-টোয়েন্টি খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। সাকিবের কাছ থেকে অনেক কিছুই শিখছেন সৌম্যরা।
“টি-টোয়েন্টিতে উনি অনেক অভিজ্ঞ, সব জায়গাতেই খেলেন। তবে আমরা উনার ওপরই নির্ভরশীল তা কিন্তু না। এখন সবাই পারফর্ম করছে বলেই আমাদের ফল ভালো হচ্ছে। উনি ভালো খেললে দলের জন্য অনেক ভালো কিছু আসে, কেননা উনি সব দিক দিয়েই অনেক শক্তিশালী।”
টপ অর্ডারের কাছে রান চাওয়ার কথা রোববার ম্যাচ শেষে বলেছিলেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাও।