দক্ষিণ আফ্রিকা জয়ে সাহসের মন্ত্র মাশরাফির

শক্তি-সামর্থ্য আর টি-টোয়েন্টি খেলার অভিজ্ঞতায় বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু মাঠে নামার আগেই হেরে বসছেন না মাশরাফিরা। বরং সাহসের সঙ্গে খেলে এই ব্যবধান ঘোচাতে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 July 2015, 11:26 AM
Updated : 4 July 2015, 03:41 PM

বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি খেলার সামর্থ্য বরাবরই প্রশ্নবিদ্ধ। পাকিস্তানের বিপক্ষে সবশেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি জিতলেও এই সংস্করণে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ধারাবাহিক নয় কখনই। দক্ষিণ আফ্রিকা বাকি দুই সংস্করণের মতো টি-টোয়েন্টিতেও সমীহ জাগানিয়া দল। একারই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেওয়ার সামর্থ্য আছে দলের ৭-৮ জন ক্রিকেটারের। বিশ্বজুড়ে টি-টোয়েন্টি লিগগুলোয় নিয়মিত খেলেন অনেক প্রোটিয়া ক্রিকেটার। বাংলাদেশের তেমন বলতে কেবল সাকিব আল হাসান। এমনকি ঘরোয়া কোনো টি-টোয়েন্টি টুনামেন্টও নেই বাংলাদেশের।

এই বাস্তবতা জানেন মাশরাফি। তবে ভড়কে যাচ্ছেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক। দলের ভয়ডরহীন ক্রিকেটের প্রতীক তিনি। টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে শনিবার সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক বললেন, এই মন্ত্রেই জয় করতে চান দক্ষিণ আফ্রিকা।

“আমরা যদি ভয় পাই, তাহলে ঘরে বসে থাকাই ভালো। ভয় আসতে পারে। কিন্তু সেটাকে মাঠের বাইরে রেখে মাঠে পারফর্ম করতে হবে। ওদের কি আছে, কে আছে, এসব নিয়ে চিন্তা করার চেয়ে আমাদের নিজের খেলাটা ঠিকমতো খেলা, মাঠে পারফর্ম করাই আসল।”

সাহসী ক্রিকেট দিয়েই বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের প্রতিকূল কন্ডিশন জয় করেছে বাংলাদেশ। এরপর স্বাগতিকরা হারিয়েছে শক্তিশালী পাকিস্তান ও ভারতকে। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজেও এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চান মাশরাফি।

“ওদের বোলিং অসাধারণ। ফিল্ডিংয়ে ১৫-২০ রান আটকাতে পারে ওরা। ওদের কিছু ব্যাটসম্যান আছে, যারা একাই ম্যাচ শেষ করে দিতে পারে। কিন্তু আমরা যে ধারাবাহিকতায় খেলছি, সেটা যদি খেলতে পারি আমার বিশ্বাস, আমরা ভালো করতে পারব। আমাদের বড় শক্তি সাহস নিয়ে খেলতে পারা। আর টি-টোয়েন্টি সাহসীদেরই খেলা।”