বেশি টি-টোয়েন্টি খেলতে মাশরাফিদের পরামর্শ দু প্লেসির 

বড় দলগুলোর সঙ্গে ব্যবধান কমিয়ে আনতে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের প্রচুর টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার পরামর্শ দিয়েছেন ফাফ দু প্লেসি।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 July 2015, 11:16 AM
Updated : 4 July 2015, 03:42 PM

রোববার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকা। তার আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক দু প্লেসি জানান, পার্থক্য কমিয়ে আনার জন্য বেশি খেলাই সবচেয়ে ভালো পথ।
 
“অনেক বেশি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের ক্রিকেটাররা টি-টোয়েন্টিতে লম্বা সময় ধরে সফল। কারণ, ওরাই সবচেয়ে বেশি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে।”  
 
বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে এখন কোনো টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টই নেই! হঠাৎ করে আয়োজন করা কিছু ম্যাচ ছাড়া টি-টোয়েন্টি খেলার সুযোগ হয় না মাশরাফি–মুশফিকদের। 
 
আইপিএল বদলে দিয়েছে ভারতের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে। অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগও সফল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। বাংলাদেশেরও এমন কিছু থাকা দরকার বলে মনে করেন দু প্লেসি।
 
“নতুন খেলোয়াড় তৈরির জন্য বাংলাদেশের একটি টি-টোয়েন্টি কাঠামো থাকা খুব জরুরি।”
 
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সর্বশেষ আসর হয়েছিল ২০১৩ সালে। ম্যাচ পাতানোর কেলেঙ্কারিতে এরপর থেকে বন্ধ হয়ে আছে এই টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। বিভিন্ন সময়ে বিপিএল চালু বা নিয়মিত অন্য কোনো টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আয়োজনের দাবি জানিয়েছেন সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবালরা।
 
পাকিস্তান সিরিজে টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয় মুস্তাফিজুর রহমানের। এই বাঁহাতি পেসার এর আগে কখনও এই সংস্করণে খেলেননি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের দলে থাকা জুবায়ের হোসেনের কোনো ধরনের টি-টোয়েন্টি খেলার অভিজ্ঞতা নেই। 
 
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে খেলার অপেক্ষায় থাকা দুই তরুণ লিটন দাসের ১১টি ও রনি তালুকদারের ঘরোয়া ক্রিকেটে নয়টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে।