বিশাল জয়ে বাংলাদেশকে সতর্কবার্তা দক্ষিণ আফ্রিকার

বাংলাদেশের সামনে কী চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে প্রস্তুতি ম্যাচেই তা জানিয়ে দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। অতিথিদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি ইমরুল কায়েসের নেতৃত্বাধীন বিসিবি একাদশ।

অনীক মিশকাতঅনীক মিশকাতবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 July 2015, 09:04 AM
Updated : 3 July 2015, 04:00 PM

বিসিবি একাদশকে টি-টোয়েন্টি প্রস্তুতি ম্যাচে সহজেই ৮ উইকেটে হারিয়েছে অতিথিরা। তবে তাদের কোনো উইকেট নিতে পারেননি স্বাগতিক বোলাররা। স্বেচ্ছায় মাঠ ছাড়েন দক্ষিণ আফ্রিকার দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান।

শুক্রবার ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ১৮ ওভারে ৯৯ রানে অলআউট হয়ে যায় বিসিবি একাদশ। জবাবে ১২ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।

ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে কুইন্টন ডি ককের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস উদ্বোধন করেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। শুরু থেকেই স্বাগতিক বোলারদের ওপর চড়াও হন ডি কক-ডি ভিলিয়ার্স। ৭ ওভারে ৬৪ রানের জুটি গড়েন এই দুই জনে।

ডি কক ২৪ বলে ৩৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। ডি ভিলিয়ার্স ১৯ বলে ২৫ রান করার পথে আব্দুর রাজ্জাকের বলে স্লিপে একটি দুরূহ সুযোগ দেন। রিভার্স সুইপ থেকে পাওয়া সেই ক্যাচ ধরতে পারেননি স্লিপে থাকা ফিল্ডার।

ডি কক ও ডি ভিলিয়ার্স মাঠ ছাড়ার পর ক্রিজে আসেন জেপি ‍দুমিনি ও ডেভিড মিলার। বাকি কাজটুকু সহজেই সারেন এই দুই ব্যাটসম্যান। তাদের দৃঢ়তায় ৮ ওভার বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় অতিথিরা। দুমিনি ১৭ ও মিলার ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন।

দুই বিশেষজ্ঞ স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক ও সোহাগ গাজী প্রথম ওভারে ১১ রান করে দেন। দুই পেসার আবুল হাসান ও কামরুল হাসানও নিজেদের প্রথম ওভারে ভালো করতে পারেননি। উইকেট না পেলেও রান কমই দেন আল-আমিন হোসেন। তার ২ ওভার থেকে ১২ রান নেয় অতিথিরা।

এর আগে রানের জন্য শুরু থেকে লড়াই করতে হয় স্বাগতিকদের। টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে থাকা রনি তালুকদার ভালো করতে পারেননি, ব্যর্থ হয়েছেন দলে ফেরার লড়াইয়ে থাকা এনামুল হকও।

কাইল অ্যাবটের করা তৃতীয় ওভারে বোল্ড হয়ে যান রনি (৮ বলে ১ রান) ও এনামুল। মাত্র ৩ রান দিয়ে দুই উইকেট নেয়া এই পেসারকে পরে আর বোলিংয়ে আনেননি দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফাফ দু প্লেসি।

৪ ওভার শেষে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ৭ রান। ইমরুল ক্রিজে এসে রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেন। পঞ্চম ওভারে তার ব্যাট থেকেই আসে প্রথম চার।

দুর্দান্ত এক ক্যাচে পরিণত হয়ে ফেরার আগে ২৪ বলে সর্বোচ্চ ২৯ রান করেন ইমরুল। ডেভিড ভিজের বলে সীমানায় ধরা পড়েন তিনি। অধিনায়কের বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোয় লড়াইয়ের পুঁজি পায়নি স্বাগতিকরা।

কাগজে লেখা থাকবে লংঅনে ক্যাচটি ধরেছেন বিউরান হেনড্রিক্স। কিন্তু এই ক্যাচে দারুণ অবদান রয়েছে মিলারের। দৌড়ে এসে বল তালুবন্দি করেন তিনি, কিন্তু ভারসাম্য রাখতে না পেরে দড়ির ওপর পড়ে যান তিনি; কিন্তু তার আগেই বল ছুড়ে দেন দৌড়ে আসা হেনড্রিকসের দিকে।

বিসিবি একাদশের ইনিংসের শুরু হতে না হতেই গ্যালারি পূর্ণ হয়ে যায়। কিন্তু দর্শকদের হতাশ করেছে স্বাগতিকদের ব্যাটিং। ইমরুল ছাড়া দুই অঙ্কে পৌঁছান কেবল শুভাগত হোম চৌধুরী (১৮) ও সোহাগ গাজী (১৩)।

বিসিবি একাদশের প্রথম ছক্কাটি আসে সোহাগের ব্যাট থেকে। বোলার ‍দুমিনির মাথার ওপর দিয়ে বল সীমানার বাইরে পাঠান জাতীয় দলে ফেরা এই ক্রিকেটার।

ছক্কা দিয়ে শুরু করলেও নিজের রান দুই অঙ্কে নিয়ে যেতে পারেননি রাজ্জাক (৮)। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে হাসান ফিরে যাওয়ার সময় স্বাগতিকদের ইনিংসের তখনও ২ ওভার বাকি।

ভিজে ১৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা বোলার। দুটি করে উইকেট নেন অ্যাবট ও ফাঙ্গিসো।