দলের সাফল্যে হতাশা ভুলেছেন মাহমুদউল্লাহ

চোটের কারণে ভারতের বিপক্ষে সিরিজে খেলতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে ব্যক্তিগত হতাশা অনেকটাই ভুলে গেছেন দলের দারুণ জয়ে।

আরিফুল ইসলাম রনিআরিফুল ইসলাম রনিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 June 2015, 03:18 PM
Updated : 26 June 2015, 03:18 PM

ভারত সিরিজের প্রস্তুতির সময় স্লিপে ক্যাচ অনুশীলনে বাঁ হাতের অনামিকায় চোট পান মাহমুদউল্লাহ। ছিটকে যান টেস্ট ও ওয়ানডে দল থেকে। দলে ছিলেন না, টিম হোটেলে ছিলেন না। তবে না থেকেও ছিলেন দলের সঙ্গেই।

মাশরাফিদের অনুশীলনের সময় মাহমুদউল্লাহও এক সঙ্গেই ফিটনেস নিয়ে কাজ করেছেন ট্রেনার মারিও ভিল্লাভারায়নের সঙ্গে। ম্যাচের দিন খেলা দেখেছেন বাসায় বসে। তবে মনটা পড়ে ছিল ওই ড্রেসিংরুমেই!

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে ফোনে মাহমুদউল্লাহ বলেন, “ড্রেসিংরুমটাই সবচেয়ে বেশি মিস করেছি; বিশেষ করে জয়ের পর। আমি তো জানি, দল জিতলে ড্রেসিংরুমে কত কি হয়! খুব মিস করেছি।”

চোট নিয়ে দল থেকে ছিটকে যাওয়া সব ক্রিকেটারের জন্যই হতাশার। মাহমুদউল্লাহর হতাশা আরেকটু বেশি। চোট পাওয়ার আগে ছিলেন দারুণ আত্মবিশ্বাসী। পাকিস্তান সিরিজটি হয়ত প্রত্যাশা মতো ততটা ভালো করতে পারেননি। তবে তার আগে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি আলো ছড়িয়েছেন তিনিই। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম শতক করেই থামেননি; শতক করেছিলেন টানা দুই ম্যাচে।

তাছাড়া প্রতিপক্ষ হিসেবেও ভারত তার সবসময়ই প্রিয়। ভারতের বিপক্ষে টেস্টে তার গড় ৬১.৬৬, ওয়ানডেতে ৪৪.৮৩! ভারত সিরিজের আগে বিসিএলের একটি ম্যাচ খেলেও শতক করেছিলেন। ক্যারিয়ারের এমন সময় হঠাৎই মাঠের বাইরে ছিটকে যাওয়ায় কিছুটা হতাশ মাহমুদউল্লাহ নিজেও। 

“আমরা খেলোয়াড়রা কখনই এভাবে মাঠের বাইরে থাকতে চাই না। থাকতে ভালো লাগে না। আর ছন্দে থাকার সময় ছিটকে গেলে আরও বেশি খারাপ লাগে। এখন আবার দলে ফিরে ছন্দ, ফর্ম ফিরে পাওয়ার ব্যাপার আছে। যা হোক, আশা করি, সমস্যা হবে না।”

নিজের এই হতাশার মাঝেও মাহমুদউল্লাহ সান্ত্বনা খুঁজে নিয়েছেন দলের সাফল্যে।

“আমরা সবাই দলের জন্যই খেলি। দলের সাফল্যই আসল কথা। আমি খেলতে পারলে অবশ্যই ভালো লাগত। তারপরও ছেলেরা যেভাবে খেলেছে, আমি তাতে গর্বিত।”

মাহমুদউল্লাহর হতাশার প্রহর অবশ্য শেষ হওয়ার পথে। বৃহস্পতিবার আঙুলের ব্যান্ডেজ খোলা হয়েছে। শুরু হয়ে গেছে পুনর্বাসনও। আপাতত লক্ষ্য, ৩ জুলাই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রস্তুতি টি-টোয়েন্টি ম্যাচটিতে খেলা। আশা করছেন, দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে খেলতে পারবেন তিনি।

বাংলাদেশ সফরে ৫ ও ৭ জুলাই মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুটি টি-টোয়েন্টি খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকা।  প্রথম দুটি ওয়ানডে মিরপুরে হবে ১০ ও ১২ জুলাই। ১৫ জুলাই শেষ ওয়ানডেটি হবে চট্টগ্রামে। চট্টগ্রামে ২১ জুলাই প্রথম ও মিরপুরে ৩০ জুলাই দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট শুরু হবে।