শুক্রবার ৬ উইকেটে জিতে তিন ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে পাকিস্তান।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ২৬৮ রান করে জিম্বাবুয়ে।
ভুসি সিবান্দার সঙ্গে ৮৩ রানের উদ্বোধনী গড়ে জিম্বাবুয়েকে ভালো সূচনা এনে দেন চামু চিবাবা। ৪৭ বলে ১৩ রান করা সিবান্দাকে বোল্ড করে ১৮.৩ ওভার স্থায়ী উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন মোহাম্মদ হাফিজ।
দুই ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ এল্টন চিগুম্বুরার জায়গায় দলকে নেতৃত্ব দেওয়া হ্যামিল্টন মাসাকাদজা (১৮) ভালো করতে পারেননি। শন উইলিয়ামসের দ্রুত বিদায় অতিথিদের বিপদ আরো বাড়ায়।
দলকে কক্ষপথে রাখলেও চিবাবাকে ফিরতে হয় মাত্র এক রানের জন্য শতক না পাওয়ার হতাশা নিয়ে। শোয়েব মালিকের বলে সরফরাজ আহমেদের গ্লাভসবন্দি হয়ে ফিরে যান এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। ১০০ বলে খেলা তার ৯৯ রানের ইনিংসটি ১১টি চার ও ১টি ছক্কায় সাজানো।
চিবাবার বিদায়ের পর প্রায় একাই খেলতে হয় সিকান্দার রাজাকে। তার অপরাজিত ১০০ রানের সৌজন্যে আড়াইশ’ পার হয় জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ। ৮৪ বলে খেলা রাজার আক্রমণাত্মক ইনিংসটি গড়া তিনটি ছক্কা ও আটটি চারে।
জবাবে ৪৭ ওভার ২ বলে ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাকিস্তান।
উইকেটে থিতু হয়ে সরফরাজ (২২) ও হাফিজ (১৫) বিদায় নিলেও শুরু থেকেই আস্থার সঙ্গে খেলেন আজহার। তৃতীয় উইকেটে আসাদ শফিকের (৩৯) সঙ্গে ৮৫ রানের জুটিতে দলকে সুবিধাজনক জায়গায় নিয়ে যান পাকিস্তানের অধিনায়ক।
শফিকের বিদায়ের পর হারিস সোহেলের সঙ্গে ৫৬ রানের আরেকটি ভালো জুটি উপহার দেন আজহার। ছন্দে থাকা এই ব্যাটসম্যান ফেরার আগে করেন ১০২ রান। তার ১০৪ বল স্থায়ী অধিনায়কোচিত ইনিংসটি ৮টি চার সমৃদ্ধ।
শতক করে আজহার ফিরে গেলেও সহজ জয় পেতে কোনো সমস্যা হয়নি স্বাগতিকদের। অবিচ্ছিন্ন পঞ্চম উইকেটে ৬০ রানের জুটি গড়ে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেন হারিস ও শোয়েব।
৫২ রানে অপরাজিত থাকেন হারিস। প্রথম ওয়ানডেতে শতক করা শোয়েব খেলেন অপরাজিত ৩৬ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংস।