তিন দিন আলোচনার পর জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট (জেডসি) রোববার জানায়, পাকিস্তান সফরে যাবে তারা।
এর আগে জিম্বাবুয়েকে পাকিস্তান সফর না করার পরামর্শ দিয়েছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের সংগঠন ফিকা। জিম্বাবুয়ের খেলোয়াড়দের একটা অংশও পাকিস্তান সফর করতে ভীতির কথা জানিয়েছিল।
গত বুধবার পাকিস্তানের করাচিতে শিয়া ধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলায় ৪৫ জন প্রাণ হারানোর পর বৃহস্পতিবার জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট (জেডসি) এক বিবৃতিতে জানায়, নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকায় সফরটি নাও হতে পারে। একটু পরেই আবার এটা চূড়ান্ত নয় বলে জানায় তারা।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) প্রধান শাহরিয়ার খান এরপর জানান, জিম্বাবুয়ে বোর্ড দল পাঠানোর ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছে।
রোববার জিম্বাবুয়ের কোচ ডেভ হোয়াটমোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে হারারে থেকে তিনি বলেন, “সফরটি হচ্ছে এবং আমরা আজ (রোববার) রাতেই জিম্বাবুয়ে ছাড়ব।”
পাকিস্তান সফরে দুটি টি-টোয়েন্টি ও তিনটি ওয়ানডে খেলবে জিম্বাবুয়ে। সবকটি ম্যাচই হবে লাহোরে।
২২ ও ২৪ মে হবে দুটি টি-টোয়েন্টি। ২৬ মে হবে প্রথম ওয়ানডে। তিন ম্যাচের সিরিজের বাকি দুটি ওয়ানডে ২৯ ও ৩১ মে।
জিম্বাবুয়েই হবে ২০০৯ সালের পর পাকিস্তান সফর করা প্রথম টেস্ট খেলুড়ে দল। ২০০৯ সালের মার্চ মাসে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ঢোকার পথে শ্রীলঙ্কা দলকে বহনকারী বাসের ওপর হামলা করেছিল বন্দুকধারীরা। কয়েকজন খেলোয়াড় এতে আহতও হয়েছিলেন। বেশ কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী আর সাধারণ মানুষ মারাও যান। এরপর থেকে পাকিস্তানে আর কোনো টেস্ট খেলুড়ে দল যায়নি।
পাকিস্তান-জিম্বাবুয়ে সিরিজে ম্যাচ পরিচালনা করতে আইসিসি তাদের আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারি না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। সবগুলো ম্যাচই পরিচালনা করবে পাকিস্তানের স্থানীয় আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারিরা। এরপরও অবশ্য ম্যাচগুলো আইসিসির স্বীকৃত ম্যাচ হবে।