এ মাসের শেষ দিকে তিনটি ওয়ানডে ও দুটি টি-টোয়েন্টি খেলতে পাকিস্তান সফরে যাওয়ার কথা নিশ্চিত করে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ড। কিন্তু এর পরের দিনই দেশটির কিছু ক্রিকেটার পাকিস্তান সফর করতে ‘ভীত’ বলে খবর বের হয়।
পাকিস্তান সফরের খবর জানানোর দিনই জেডসির চেয়ারম্যান উইলসন ম্যানাসে বোর্ডের টুইটার অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে জানিয়েছিলেন, সব ঘটনা জেনেশুনেই পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন তারা।
পাকিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি দেখতে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেলের দেশটিতে যাওয়ার আগে ফিকার এই হুশিয়ারি এলো, যা জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটারদের নতুন করে ভাবনায় ফেলতে পারে।
ফিকার নির্বাহী চেয়ারম্যান জানান, পাকিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করে তারা দেখেছে যে, দেশটিতে কোনো আন্তর্জাতিক দলের নিরাপত্তার চরম ঝুঁকি আছে। আর তা কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয় বলেও মনে করে তারা। সেজন্যে বর্তমানে কোনো দলকেই দেশটিতে খেলতে না যেতে পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।
ফিকার হুশিয়ারির পরও যদি জিম্বাবুয়ে পাকিস্তান সফর করে, তাহলে ২০০৯ সালের পর দেশটিতে সফর করা প্রথম টেস্ট খেলুড়ে দল হবে আফ্রিকার দেশটি।
২০০৯ সালের মার্চ মাসে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ঢোকার পথে শ্রীলঙ্কা দলকে বহনকারী বাসের ওপর হামলা করেছিল বন্দুকধারীরা। কয়েকজন খেলোয়াড় এতে আহতও হয়েছিলেন। বেশ কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী আর সাধারণ মানুষ মারাও যান।
এই ঘটনার জন্য ম্যাচটি পণ্ড হয় এবং সফর বাতিল করে শ্রীলঙ্কা দেশে ফিরে যায়। এরপর থেকে পাকিস্তানকে তাদের হোম ম্যাচগুলো দেশের বাইরে খেলতে হচ্ছে।