বুধবার দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের প্রথম দিনের খেলা শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৩২৩ রান। অতিথিদের দুটি উইকেট নিয়ে প্রথম দিনে বাংলাদেশের সেরা পারফরমার মোহাম্মদ শহীদ সংবাদ সম্মেলনে আসেন দলের প্রতিনিধি হয়ে।
৪৩ রানের বিনিময়ে মোহাম্মদ হাফিজ ও ইউনুস খানের উইকেট নেওয়া শহীদ জানান, তৃতীয় একজন পেসারের অভাব অনুভব করেছেন তারা।
আরেক পেসার শাহাদাত হোসেন মাত্র দুই বল করেই চোটের কারণে ছিটকে যাওয়ায় বড় বিপদে পড়ে বাংলাদেশ।
শাহাদাত মাঠ ছাড়ার পর ক্যারিয়ারের মাত্র দ্বিতীয় টেস্ট খেলা শহীদের কাঁধেই ছিল বাংলাদেশের পেস আক্রমণের দায়িত্ব। সারা দিন ধরে প্রাণপণ চেষ্টা করে যাওয়া এই পেসার জানান, শাহাদাত মাঠে থাকলে তার জন্য আরও সুবিধা হত।
“পেসারদের জন্যই এই উইকেট। দুর্ভাগ্যজনকভাবে রাজিব (শাহাদাত) ভাই চোটে পড়েছে। তিনি থাকলে আমার জন্য বেশি ভালো হত।”
শহীদ জানান, উইকেট সহায়ক থাকলেও ভালো বোলিং করাটাও একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল।
“উইকেটে ঘাস ছিল, উইকেটে মুভমেন্ট ছিল। আমি সহায়তা পাচ্ছিলাম। কোনো চাপ ছিল না; তবে এখানে বোলিং করা চ্যালেঞ্জ ছিল।”
খুলনায় অভিষেক টেস্টে কোনো বল না করলেও ঢাকা টেস্টে বল করেন সৌম্য সরকার। শাহাদাতের অসমাপ্ত ওভারটি শেষ করা এই তরুণ সব মিলিয়ে ১১.৪ ওভার বল করে ৩২ রান দেন। ‘নো’ বলের কারণে ইউনুস খান বেঁচে না গেলে একটি উইকেটও পেতে পারতেন তিনি।