খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে ড্র হওয়া প্রথম টেস্টে ২৫ ও অপরাজিত ৭৬ রানের দুটি ইনিংস খেলেন সাকিব। তবে বোলিংয়ে ৩৭ ওভার বল করে ১৪৬ রানে মাত্র একটি উইকেট নেন এই বাঁহাতি স্পিনার।
সাকিবের বোলিং নিয়ে একটু দুর্ভাবনার কথা স্বীকার করেছেন অধিনায়কও। তবে সাকিবের পাশেই আছেন মুশফিক।
“যেহেতু দলের সেরা বোলার, সাকিব পাঁচ উইকেট, ছয় উইকেট পাবে, কখনও ১/২ উইকেট পেলে হয়তো ভাবি, ওর যোগ্যতা মতো হয়তো পায়নি।”
মিরপুরে সাকিব ব্যাটে-বলে সব সময়ই সফল। মুশফিকের বিশ্বাস, এই মাঠেই স্বরূপে দেখা যাবে বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারকে।
“মিরপুরে সাকিবের খুবই ভাল রেকর্ড আছে। আগে যে কাজগুলো সে করেছে, এগুলো যদি কালকের টেস্টে করতে পারে তাহলে আমাদের জন্য খুব ভালো হবে। আমি ওর দিকে তাকিয়ে আছি। ব্যাটিং-বোলিংয়ে যদি ও খুব ভালো করতে পারে তাহলে এই টেস্ট আমাদেরই হবে।”
শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ব্যাটিং ও বোলিংয়ে সফলতম ক্রিকেটার সাকিব। প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এই মাঠে এক হাজার করার অপেক্ষায় আছেন তিনি। ১২ টেস্টের ২৩ ইনিংসে একটি শতক ও ছয়টি অর্ধশতকসহ ৪৩.৪৫ গড়ে ৯৫৬ রান করেন তিনি। এই মাঠে তার পেছনে থাকা তামিম ইকবালের রান ৭৭৪।
মিরপুরে বোলিংয়েও তালিকায় সবার ওপরে রয়েছেন সাকিব। ২১ ইনিংসে বল করে ৪৩ উইকেট নেন এই বাঁহাতি স্পিনার। শের-ই-বাংলায় তার পাঁচ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব রয়েছে পাঁচবার, তার ইনিংস সেরা ৬/৫৯, ম্যাচ সেরা ৭/১০৩।