ড্র হওয়া খুলনা টেস্টে অন্য প্রান্ত আগলে রাখার পথে ১৫০ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেন ইমরুল। আর তামিম উপহার দেন বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ টেস্ট ইনিংস (২০৬)। উদ্বোধনী জুটিতে ৩১২ রান তোলেন দুজনে। টেস্টে যে কোনো দলের দ্বিতীয় ইনিংসে উদ্বোধনী জুটির এটাই সর্বোচ্চ রান।
ম্যাচ শেষের প্রতিক্রিয়ায় খুলনা টেস্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পাওয়া তামিম বলেন, “আমি ছিলাম আক্রমণাত্মক মেজাজে আর ইমরুল ইনিংস নিয়ন্ত্রন করছিল। এটা ছিল দারুণ সমন্বয়।”
মোহাম্মদ হাফিজের বলে আউট হওয়ার আগে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ টেস্ট রানের ইনিংস উপহার দেন তামিম (২০৬)। আগের সর্বোচ্চ ছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্টে খেলা অধিনায়ক মুশিফকুর রহিমের ২০০ রানের ইনিংসটি।
পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট বাঁচানো ইনিংস খেলতে পেরে দারুণ উচ্ছ্বসিত তামিম, “আমি খুবই খুশি। যে পরিকল্পনা করেছিলাম, সেটাই সুন্দরভাবে হয়েছে। এটা আমার ও দলের জন্য খুবই দরকারি ইনিংস ছিল।”
ওয়াহাব রিয়াজ-হাফিজদের সামলে প্রায় আট ঘণ্টা ব্যাটিং করেন তামিম। ক্যারিয়ারের প্রথম দ্বিশতক তুলে নেওয়া ইনিংসটি ১৭টি চার ও ৭টি ছক্কায় সাজান এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
ইমরুলও প্রায় ছয় ঘণ্টা পাকিস্তানের বোলারদের বিপক্ষে দৃঢ়তাপূর্ণ ব্যাটিং করেন; ক্যারিয়ার সেরা টেস্ট ইনিংস (১৫০) খেলার পথে ১৬টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান।
খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে শনিবার পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট ড্রয়ে অবদান রাখেন সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ। চতুর্থ দিনে বল হাতে ভালো করেছেন তাইজুল ইসলামও। এই তিন সতীর্থের প্রশংসা করতেও ভোলেননি তামিম।
তবে সব মিলিয়ে দলীয় প্রচেষ্টাতেই যে খুলনায় পাকিস্তানের জয়ের আশা গুঁড়িয়ে দেওয়া গেছে, সেটাই জানালেন তামিম।
“তাইজুল দারুণ বোলিং করেছে। সাকিব ও মাহমুদউল্লাহ তাদের কাজটি করেছে। আমি নিজেরটা এবং ইমরুল তার কাজটা করেছে। এটা ছিল দলীয় প্রচেষ্টা।”