‘আক্রমণই সবচেয়ে ভালো রক্ষণ’

খুলনা টেস্ট বাঁচাতে পাঁচ সেশন ব্যাট করার বিষয়টি মাথায় রেখে দ্বিতীয় সেশন শুরু করে বাংলাদেশ। নেতিবাচক ব্যাটিং করলে স্বাগতিকদের অলআউট করার যথেষ্ট সময় পেয়ে যেত পাকিস্তানের বোলাররা। তাই পাল্টা আক্রমণে প্রতিরোধ গড়েন তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস। 

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 May 2015, 02:49 PM
Updated : 1 May 2015, 03:00 PM

খুলনা টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ কোনো উইকেট না হারিয়ে ২৭৩ রান। অতিথিদের চেয়ে ২৩ রানে পিছিয়ে আছে তারা।

শুক্রবার চতুর্থ দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন তামিম। তিনি জানান, পাকিস্তানের বোলারদের থিতু হতে না দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের।

“আমরা চিন্তা করেছি, আক্রমণ করতে হবে। ওরা যদি ভালো বল করা শুরু করে তাহলে কোনো না কোনো ভাবে আমাদের উইকেট নিয়ে নেবে। ওদেরকে থিতু হতে দেওয়া যাবে না। আমাদের পরিকল্পনায় আমরা সফল হয়েছি।”

শুক্রবার টেস্টে যে কোনো উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়েন তামিম ও ইমরুল। শতকও তুলে নেন এই দুই বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। এদিন ওভারপ্রতি প্রায় সাড়ে চার করে রান সংগ্রহ করেন তারা।

“আমরা শুরু থেকেই আক্রমণ করেছিলাম। কারণ, ‘অফেন্স ইজ দ্য বেস্ট ডিফেন্স’। আমরা জানতাম, যে ছক্কা মেরেছি সেটায় আউট হতে পারতাম। যে রিভার্স সুইপে চার মেরেছি তাতেও আউট হতে পারতাম। এমনটা হলে অনেক কথা উঠত; কিন্তু আমরা এত কিছু ভাবিনি।”

ইমরুলের সঙ্গে বড় জুটি গড়া নতুন নয় তামিমের জন্য। আগের টেস্টেই ২২৪ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েছিলেন এই দুজন। লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৮৫ রানের একটি উদ্বোধনী জুটিও আছে তাদের।

বোঝাপড়াটা দারুণ তামিম-ইমরুলের। তামিম জানান, মাঠে দুই জনই নিজেদের স্বাভাবিক ব্যাটিংয়ের চেষ্টা করেছেন।

দিনের শেষ দিকে একটি স্পেলে ‘রিভার্স সুইং’ করে তামিমদের কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন ওয়াহাব রিয়াজ। পাকিস্তানের এই পেসারের সেই স্পেলকে নিজের খেলা সেরা পেস বোলিং বলে অভিহিত করেন তামিম।