জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটারা ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে জানায়, এই সফর নিয়ে দলে কেউ 'নার্ভাস', কেউ আবার ভীত।
আগামী মাসে পাকিস্তান সফরের বিষয়টি জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট (জেডসি) বৃহস্পতিবার নিশ্চিত করে। সফরসূচিও চূড়ান্ত হয়ে গেছে।
সবকটি ম্যাচই হবে লাহোরে। ২২ ও ২৪ মে হবে দুটি টি-টোয়েন্টি। ২৬ মে হবে প্রথম ওয়ানডে। তিন ম্যাচের সিরিজের বাকি দুটি ওয়ানডে ২৯ ও ৩১ মে।
সফর চূড়ান্ত হওয়ার আগেও জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটাররা তাদের ভয়ের কথা জানিয়েছিলেন।
সফর চূড়ান্ত হওয়ার পর ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ক্রিকেটার বলেন, "আমাদের ক্রিকেট (খেলা) প্রয়োজন আছে। এমন নয় যে, আমাদের সামনে অনেক সফর পড়ে আছে।"
জেডসির চেয়ারম্যান উইলসন ম্যানাসে বোর্ডের টুইটার অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে জানিয়েছিলেন, সব ঘটনা জেনেশুনেই পাকিস্তান সফর করার সিদ্ধান্তে পৌঁছান তারা।
২০০৯ সালের মার্চ মাসে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ঢোকার পথে শ্রীলঙ্কা দলকে বহনকারী বাসের ওপর হামলা করেছিল বন্দুকধারীরা। কয়েকজন খেলোয়াড় এতে আহতও হয়েছিলেন। বেশ কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী আর সাধারণ মানুষ মারাও যান।
এই ঘটনার জন্য ম্যাচটি পণ্ড হয় এবং সফর বাতিল করে শ্রীলঙ্কা দেশে ফিরে যায়। এরপর থেকে পাকিস্তানকে তাদের হোম ম্যাচগুলো দেশের বাইরে খেলতে হচ্ছে। আর সাধারণত তারা সংযুক্ত আরব আমিরাতেই খেলে।
আইসিসি আর পূর্ণ সদস্য দেশগুলো পাকিস্তানকে নিরাপত্তার দিক থেকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করে। জিম্বাবুয়ে পাকিস্তান গেলে ২০০৯ সালের পর তারাই হবে সেখানে সফর করা প্রথম টেস্ট খেলুড়ে দল।