শুক্রবার খুলনা টেস্টের চতুর্থ দিন পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম শতকে পৌঁছান তামিম। অর্ধশতকে পৌঁছাতে ৬৩ বল খেলেন তামিম। এই সময়ে তার ব্যাট থেকে আসে ৭টি চার। রান তিন অঙ্কে নিতে খেলেন আরো ৬০ বল। এই সময়ে তার ব্যাট থেকে আসে আরও ৪টি চার ও ৩টি ছক্কা।
জুনায়েদ খানের বলে পরপর দুটি চার হাঁকিয়ে শতকে পৌঁছান তামিম।
৬১ টেস্টে ছয় শতক করেছিলেন আশরাফুল। ৩৮তম টেস্ট খেলতে নেমে তাকে ছাড়িয়ে গেলেন বাংলাদেশের সেরা উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান।
বাংলাদেশের খুব প্রয়োজনের সময় এল তামিমের সপ্তম শতক। ২৯৬ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা স্বাগতিকরা ম্যাচ বাঁচাতে তাকিয়ে ছিল তার ব্যাটের দিকেই। হতাশ করেননি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ দুটি টেস্টে শতক করা এই বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান।
প্রথম ইনিংসে মন্থর ব্যাটিং করা তামিম উইকেটে থিতু হয়ে ফিরেছিলেন। সেই ইনিংসের ২৫ ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে তার সর্বোচ্চ। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে স্বরূপেই দেখা গেছে বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে।
পাকিস্তানের ইনিংসের ৩৫তম ওভারে চোট পান বাংলাদেশের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। এক ওভার পর মাঠ ছাড়ানে তিনি। বাকি সময়টুকু মাঠে দলকে নেতৃত্ব দেন তামিম।
ব্যাট হাতে দলকে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশের সহ-অধিনায়ক। শুরু থেকেই চোখ ধাঁধানো সব শট খেলে দ্রুত চাপটা নিজেদের কাঁধ থেকে সরিয়ে নেন তিনি।
হুক, পুল, রিভার্স সুইপ তো খেলেছেনই এগিয়ে এসে স্পিনারদের বলে হাঁকিয়েছেন বিশাল সব ছক্কা। আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাট করা তামিম চেপে ধরতে দেননি অতিথি বোলারদের।
দিনশেষে ১৩৮ রানে অপরাজিত আছেন তামিম। ১৮৩ বলের ইনিংসে ১৩টি চার ও চারটি ছক্কা মেরেছেন ফর্মে থাকা এই ক্রিকেটার।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খুলনায় ১০৯ রান করেছিলেন তামিম। চট্টগ্রামে পরের টেস্টেও খেলেন ১০৯ রানের চমৎকার এক ইনিংস।