সুযোগ হাতছাড়ার মাশুল দিচ্ছে পাকিস্তান

বাংলাদেশের বিপক্ষে খুলনা টেস্টের প্রথম দিন শেষে স্বাগতিকদের মাত্র ৪ উইকেট নিতে পেরেছে পাকিস্তান। ফিল্ডাররা পাঁচটি সুযোগ হাতছাড়া না করলে দিন শেষে ভালো অবস্থানে থাকতে পারতো মিসবাহ-উল-হকের দলই।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 April 2015, 02:04 PM
Updated : 28 April 2015, 02:52 PM

খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে প্রথম দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২৩৬ রান।

টেস্ট মেজাজের ব্যাটিং করে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার পেছনে সুযোগগুলো হারানোটাকে দায়ী করেন পাকিস্তানের আজহার আলি।

ম্যাচ শেষে পাকিস্তান দলের প্রতিনিধি হিসেবে সাংবাদিকদের সামনে এসে তিনি বলেন, “আমি মনে করি, যদি আমরা ওই ক্যাচগুলো নিতে পারতাম, তাহলে পরিস্থিতি অন্যরকম হত। তবে এখনও অনুভব করছি, পরিকল্পনা ধরে এগুচ্ছি আমরা।”

ইনিংসের ১৮তম ওভারে প্রথম সুযোগটি আসে অতিথিদের সামনে। জুলফিকার বাবরের বল লংঅন দিয়ে উড়িয়ে সীমানা পার করতে চেয়েছিলেন ইমরুল কায়েস। ক্যাচটি তালুবন্দি করার যথেষ্ট সময় পেয়েছিলেন ইয়াসির শাহ। কিন্তু পারেননি তিনি, তার মাথার ওপর দিয়ে এক ড্রপে সীমানার বাইরে চলে যায় বল। সে সময় ১২ রানে ব্যাট করছিলেন ইমরুল।

বাবরের পরের ওভারে আবার সুযোগ আসে পাকিস্তানের সামনে। এবার ব্যাটসম্যান ছিলেন তামিম ইকবাল। বাবরের বলে ব্যাকওয়ার্ড শর্ট লেগে ক্যাচ দিয়েছিলেন সে সময় ১৬ রানে ব্যাট করা এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেননি মোহাম্মদ হাফিজ।

২৯তম ওভার দ্বিতীয়বার জীবন পান ইমরুল। শেষ পর্যন্ত ৫১ রান করে ফেরা এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান সে সময় ব্যাট করছিলেন ৩০ রানে। ইয়াসিরের বলে শর্ট লেগে থাকা ফিল্ডার ক্যাচটি তালুবন্দি করতে পারেননি।

ইমরুল ফিরে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর জীবন পান সর্বোচ্চ ৮০ রান করা মুমিনুল হক। ৪৬তম ওভারে তৃতীয়বারের মতো হতাশ হতে হয় বাবরকে। সে সময় ১৭ রানে ব্যাট করা মুমিনুলের ফিরতি ক্যাচ ধরতে পারেননি এই বাঁহাতি স্পিনার। 

দুই ওভার পর জীবন পান মাহমুদউল্লাহও। ব্যক্তিগত ৮ রানে ওয়াহাব রিয়াজের বলে প্রথম ও স্লিপের মাঝামাঝি জায়গায় ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান এই মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান। ওয়াহাবের শিকারে পরিণত হওয়ার আগে আরো ৪১ রান যোগ করেন মাহমুদউল্লাহ।

জীবন পেয়ে কেউ খুব একটা বড় ইনিংস খেলতে না পারলেও কয়েকটি জুটি ঠিকই গড়েন স্বাগতিক ব্যাটসম্যানরা। তাই রান করা কঠিন এমন উইকেটে দিন শেষে এগিয়ে থাকছে মুশফিকুর রহিমের দলই।